অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্দেশ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৫:৩৬ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্দেশ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদ্দেশ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। এই দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর এ মন্তব্য আসে।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে গড়ে তোলা প্ল্যাটফর্ম ‘নাগরিক সমাজ’ ২৬ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের যে দাবি জানিয়েছে, তাতে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বহু নাগরিক আছে, শুধু কয়েকজন মিলে দাঁড়িয়ে বললে সেটিই করতে হবে- তা কিন্তু নয়।’

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বুধবার নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে আইন বাতিলে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি আসে। 

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিক বলতে শুধু  কয়েকজন যারা বক্তৃতা করেছেন, যারা সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেন, শুধু তাদেরকে বোঝায় না। বাংলাদেশে আর বহু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আছেন- হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ, আরও বহু নাগরিক আছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন এই ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না, তখন আইনের প্রয়োগও ছিল না। যখন ডিজিটাল বিষয়টা এসেছে, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টাও এসেছে।

এ ধরনের আইন ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে জানিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা হাছান বলেন, এ আইনের বলে সেখানেও শাস্তি হচ্ছে এবং গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে এই আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য সতর্ক আছে এবং থাকবে।  

জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের উদ্যোগ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বটে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা রহস্যজনকও ছিল।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।