১০ মাস পর মুক্তি পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার
আহমেদ কবীর কিশোর
প্রায় ১০ মাস পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন তিনি। ছয়মাসের জামিন পেয়েছেন এই কার্টুনিস্ট। কিশোরের বড় ভাই লেখক আহসান কবির অপরাজেয় বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে কাশিমপুর কারাগার (পার্ট-২) থেকে কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে বুধবার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ কিশোরের এই জামিন আদেশ দেন।
**৬ মাসের জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
এর আগে সোমবার (১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। পরে আদেশের জন্য ৩ মার্চ দিন ঠিক করে দেন আদালত।
আদালতে কিশোরের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়। আহমেদ কবির কিশোরের পাশাপাশি মুশতাক আহমেদের জন্যও হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হয়েছিল।
গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় কার্টুনিস্ট কিশোর এবং লেখক মোশতাক সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তিনজনকে অভিযুক্ত এবং আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন।
এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রাষ্টপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আপত্তি করে পূনরায় তদন্তের আবেদন করেন। ঢাকার সাইবার ট্রাইবু্নালে আসসামছ জগলুল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছেন।