অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

অরিত্রী আত্মহত্যা মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ৩ মার্চ ২০২১ বুধবার  

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এই পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মামলার সুরতহালের সাক্ষী মেরিনা মন্ডল নামে এক জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। 

মামলার দুই আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তার জামিনে আছেন। 

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তার শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বরখাস্ত) নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার এবং অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মা–বাবার সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শাখাপ্রধানের নির্মম ও নির্দয় আচরণ অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে, যা তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এরপর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলার সময়ে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইলে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় ফিরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে অরিত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান বাবা মা।