অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের মামলার প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার  

জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের মামলার প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের মামলার প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

নাসরিন আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (১ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার সময়ে স্বামী সবুজ বারবার সেবিকা শংকরী রাণীকে গুরুত্ব দিতে বললেও তিনি দেননি। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্নি চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। 

এরপর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেনি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ দিতে অনুরোধ করলে তারা তা করেনি। শংকরী রাণী স্যালাইন ও ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।