অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল দাবি ও মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদ

বামজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে পুলিশি বাধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০২:২৪ পিএম, ১ মার্চ ২০২১ সোমবার

বামজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে পুলিশি বাধা

বামজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে পুলিশি বাধা

কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তার সাত ছাত্রনেতার মুক্তির দাবিতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। সচিবালয় সংলগ্ন ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে আছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দুই শতাধিক নেতাকর্মী এই আন্দোলনে আছেন।

বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। সোমবার (১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের একটি দল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় মিছিলকারীদের ব্যারিকেড সরিয়ে সামনে এগোতে দেখা যায়। পরে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আবার আটকে দেয় পুলিশ।

পুলিশের বাধার মুখে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন। তারা জানান, লেখক মুশতাকের মৃত্যুর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে তারা মাঠে নেমেছেন। মিথ্যা মামলায় আটক ব্যক্তিদের সবাইকে মুক্তির দাবি জানান তারা। 

এরপর পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে থাকেন। সচিবালয়সংলগ্ন ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আগে থেকেই অবস্থান করছিল।


পুলিশের বাধায় মিছিলটি আর এগোতে না পেরে ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে থেকেই বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছেন। 

মুশতাক আহমেদ গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দি ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃত্যু হয়।

তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিল। মুশতাকের ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মুশতাকের মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। এসব সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়েছেন।

আইনটি বাতিল দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় মশালমিছিল করতে গেলে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই মিছিল থেকে বাম ছাত্রসংগঠনের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া খুলনা থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হন বামপন্থী শ্রমিকনেতা রুহুল আমিন।