অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জীবনহীন জীবন্ত বুদ্বুদে জেরবার বিশ্ব, এরপর?

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার   আপডেট: ১২:৫০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

মোটে ১০০ ন্যানো মিটারের একটা জৈব বুদবুদ বিশ্বের কোনায় কোনায় হানা দিলো। ২৪ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলো। বিশ্বটাকে বদলে দিলো। বিজ্ঞানীরা জানতেই পেলো না, কোথা হতে, কেমন করে কী হয়ে গেলো। কিন্তু প্রকৃতি সেতো থেমে থাকে না। আহ্নিক গতির নিয়মে সৌরমণ্ডলে দিন হলো রাত্রি নামলো। বছর ঘুরে, শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা এলো এবং গেলো। আাবার বসন্ত ফিরলো। 

কিন্তু মনে কি পড়ে? নিশ্চয়ই মনে পড়ে- গেলো বসন্তের কথা। হংকংয়ে যে দেখা গিয়েছিলো বিরল সেই গোলাপী ডলফিন। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে নেকড়েরা নেমে এসেছিলো রাস্তায়, তেল-আবিবে শৃগালগুলো ঘুরঘুর করছিলো পার্কে সড়কে, বড় বড় বন-ছাগলের পাল ঘুরে বেড়াচ্ছিলো ওয়েলসের শহরময়, রোমের সড়কে সজারুরা পুরনো ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোতে ঘুরতো নিজেদের মতো। 

আরও ঘটেছিলো কত ঘটনা, ভেনিসের খালের পানি হয়ে উঠেছিলো অদ্ভুত স্বচ্ছ, যাতে পানকৌড়িগুলো তাদের ইচ্ছা মতো ধরেছে মাছের শিকার, রাজহংসী (কানাডা গিজ) তার ছানাদের নিয়ে দুলকি চালে হেঁটেছিলো লাসভেগাসের সড়কের মাঝখান দিয়ে। 

দূরের কথা বলি কেনো আমাদের উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে খালি চোখে দেখা যাচ্ছিলো কাঞ্চনজঙ্ঘা। সে ঘটনা অবশ্য আরো পরে শীতের আগমনে। কিন্তু বসন্তে আমাদের কক্সবাজারেও ডলফিনেরা নৃত্য করেছে লেজ উঁচিয়ে, লম্ফ দিয়ে দিয়ে।

প্রকৃতি তখন সত্যিই বিস্তার লাভ করছিলো, শত শত কোটি মানুষকে এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোভিড-১৯ ঘরে ঢুকে দরজা লটকে দিতে বাধ্য করেছিলো। আর তাতে প্রকৃতির পরিবর্তন এতটাই দ্রুত গতিতে ঘটে চলেছিলো যে বিজ্ঞানীরা তার একটা নতুন নামও দিয়ে ফেললেন- দ্য অ্যান্থ্রোপজ। নৃ-বিরতি হয়তো বলা চলে বাংলায়।

মানব সভ্যতার এই থমকে যাওয়া সময়টিতে পশুরা যে রাজত্ব বাড়াতে চেয়েছিলো তা বটে। তবে তার চেয়ে বড় কথা এই কোভিড-১৯ পৃথিবী নামের গ্রহটির রসায়নও কিছুটা বদলে দিয়েছে। কারখানাগুলো তার ঘর্ঘর শব্দ থামিয়েছিলো, সড়কগুলো ছিলো গাড়িমুক্ত ফলে উত্তর গোলার্ধের ওজোন স্তর ৭ শতাংশ নেমে গিয়েছিলো। ভারতসহ এতদাঞ্চলে বায়ু দুষণ এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছিলো বলেই পর্বতের চূড়াগুলো দেখতে উজ্জ্বলতল হয়ে উঠেছিলো, ঠিক যেমনটা ঘটেছিলো কাঞ্চনজঙ্ঘার ক্ষেত্রে। আবহমণ্ডল থেকে ধোয়াশা কিছুটা কেটে গেলে সূর্য আমাদের মাঝে আরো বেশি আলো ছড়াতে পারছিলো। আর সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ধরিত্রীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রির পাঁচ-ভাগের এক ভাগ হ্রাস পেয়েছিলো।
 
এর পাশাপাশি এই অতিমারি গোটা মানবকুলে একটা গভীর দাগতো নিশ্চয়ই কেটে দিয়ে গেছে, যা অন্তত আসছে কয়েক দশক মানুষ মনে রাখবে। ২৪ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে, প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি অংশ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যে দেশটি এই কোভিড-১৯ এর সবচেয়ে বড় শিকার তাদের গড় আয়ু ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই গোটা এক বছর কমে যায়। আর কৃষ্ণাঙ্গদের মাঝে তা কমে ২.৭ বছর। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২২ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি দেখছে। আর ইউনিসেফ সতর্ক করেছে এই বলে যে, করোনা মহামারি বিশ্বের সামনে একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মও (লস্ট জেনারেশন) হাজির করতে পারে। 

আর এই ভীষণ আঘাতের মূলে, আগেই বলেছি, একটি তেলচিটচিটে বুদবুদ যার ব্যপ্তি ১০০ ন্যানোমিটার মোটে। করোনা ভাইরাসটি এতটাই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা জীব, যার ১০ ট্রিলয়ন একসাথে করলে বৃষ্টির একটি ফোঁটার সমান হবে না।

২০২০ এর জানুয়ারিতে সারস-কভ-২ যখন প্রথম ধরা পড়ে, বিজ্ঞান বিশ্ব তখন এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে, এটা বের করে আনতে যে, এত ক্ষুদ্র যার পরিধি, এত বড় তার ক্ষতির মাত্রা কী করে হতে পারে। বিজ্ঞানীরা মানবদেহে কোষের ভিতরে ভাইরাসটির প্রোটিনের ঘুর্ণনের সক্ষমতাকে নির্ণয় করে ফেললেন। এবং তারাই উন্মোচন করলেন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কি এক কৌশল খাটিয়ে কাবু করে দেয় এই ভাইরাস। আর তারা এও দেখতে পেলেন কি করে একটি আক্রান্ত কোষ নিজে নিজেই লাখ লাখ করোনা ভাইরাসের জন্মদিয়ে চলে অনবরত। 
আত্মনিয়োজিত গবেষকরা সারস-কভ-২’র ব্যাপারে এমন নানাকিছু খুঁজে পেয়েছেন বটে, তবে এখনো ম্যালা প্রশ্নের উত্তর রয়ে গেছে অজানা। আর সেইসব প্রশ্নের তালিকায় সবচেয়ে উপরেরটি হয়ে আছে- করোনাভাইরাস কি জীবন্ত?
 
বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বড় তর্কে আছেন এই ভাইরাসের উতপত্তি নিয়ে। তাদের কারো কারো দাবি প্রায় শতবর্ষ ধরেই এই ভাইরাস রয়েছে, ঠিক তখন থেকে যখন থেকে রোগজীবানুর আবিষ্কার তখন থেকে। গেলো মাসে অনুজীববিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্সের একটি আর্টিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের দুই অনুজীববিজ্ঞানী হাগ হ্যারিস ও কলিন হিল এই বিতর্ক নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেছেন, এই তর্কের শেষ তারা আপাতত দেখছেন না। আর তারা এই ঘোষণাও দিয়েছেন যে, বিজ্ঞানী সমাজ ভাইরাসের জীবন প্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি একমত কোনোকালেই হতে পারবে না।

এই যে না পারা, তার কারণ হচ্ছে, ভাইরাস মানেই ভীষণ অদ্ভুতুরে একটা বিষয়। তবে তার চেয়েও বড় কথা, এটা কঠিন এই কারণে যে, বিজ্ঞানীরা এখনও এই ‘জীবন্ত’ কথাটি, ভাইরাসের ক্ষেত্রে সেটা একদম কীভাবে প্রযোজ্য, অর্থাত কি হলেই বুঝবো কিংবা বলবো জীবন্ত, তাতে একমত হতে পারেননি। জীবনতো ব্রহ্মাণ্ডের এক অতি অনিবার্য বিষয়। কিন্তু সৃষ্টিতে আর যা কিছুর বিচরণ তার থেকে একে আলাদা করার কোনও তীক্ষ্ণরেখা কখনোই টানা যায়নি। আর সে রহস্যতো ভাইরাসের চেয়েও অনেক দূর অব্দি বিস্তৃত। জীবনের কিছু জনপ্রিয় সংজ্ঞা রয়েছে, সেগুলো মানলে তো খরগোশই যে জীবন্ত কিছু তার নিশ্চয়তা মেলে না। ভাইরাসতো কোন ছাড়! এমনকি আমরা যদি আমাদের নিজেদের জেনোমের দিকে তাকাই, দেখতে পারো জীবন নিয়ে সেখানেও কূটাভাসই ঘুরপাক খাচ্ছে, স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।
 
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ভাইরাসের কথা জেনে আসছে এর কারণে যে অসুস্থতা হয় তার মাধ্যমে। চিকি\সাবিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন গুটিবসন্ত, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি। সেই ১৬০০’র দশকে অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহোয়েক যখন তার অনুবীক্ষণযন্ত্রের নিচে এক ফোঁটা পানি রেখে চোখ ফেলেছিলেন, তিনি গভীর বিষ্ময়ে কিছু ব্যাকটেরিয়াই দেখতে পেয়েছিলেন, আর সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ভাইরাসের খোঁজ তখন পাননি। তার দুই শতাব্দী পরে বিজ্ঞানীরব যখন ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কার করলেন, তখন থেকেই তা প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যমানতার বাইরেই রয়ে গেলো। 

এরপর ১৮০০ শতাব্দীর শেষ ভাগে এসে বিষয়টি আবিষ্কৃত হলো যখন বিজ্ঞানীরা টোব্যাকো মোজাইক নামের একটি রোগের তোড়ে জেরবার হয়ে পড়লেন তখন। এই ভাইরাস গাছকে আক্রান্ত করে, এক ধরনের দাগে ভরে তোলে গাছের পাতাগুলো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এর পেছনে কোনো ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের ভূমিকা দেখতে পাচ্ছিলেন না। এসময় তারা আক্রান্ত গাছের কষ তুলে নিয়ে ভালো গাছের বাকলে ইনজেক্ট করে দেখলেন সে গাছটিও আক্রান্ত হচ্ছে। এরপর একটি ছাকনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কষকে কোষমুক্ত করে সুস্থ গাছের বাকলে ইনজেক্ট করে দেখলেন, তাও আক্রান্ত হচ্ছে। এবার বিজ্ঞানীরা আরো ধন্দে পড়ে গেলেন। ডাচ বিজ্ঞানী মার্টিনাস বিজেরেনিক এগুলোর নাম দিলেন সংক্রামক জীবন্ত তরল। তখন এ নিয়ে চলতে থাকলো আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তখন বিজেরেনিক নিশ্চিত হলেন এই তরলে কিছু একটা সংক্রামক সক্রিয় থাকে, তবে তা এমন কিছু যার অস্তিত্ব আগে কোথাও কখনো জানা যায়নি। তিনি এর নাম দিলেন ‘ভাইরাস’। যা ল্যাটিন ভাষায় পয়জন বা বিষকেই বুঝায়।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, অন্য বিজ্ঞানীরা এমন কিছু ভাইরাসের সন্ধান পেতে শুরু করলেন যা মানবদেহকে আক্রান্ত করে। পরে দেখলের কোষবিশিষ্ট সকল জীবকেই ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে। কিছু ভাইরাস রয়েছে যা কেবল ব্যাকরেরিয়াকেই সক্রিয় করে। আর দশকের পর দশক এই ভাইরাস সক্রামক জীবন্ত তরলের মধ্যে সক্রিয় অবস্থায় থাকে। ১৯৩০ এর দশকে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা ইলেক্ট্রন মাইক্রোসকোপ আবিষ্কার করলেন, যা বেশ শক্তিশালী এবং এই যন্ত্রের মাধ্যমে ভাইরাল বিশ্বকে আলোর নিচে নিয়ে আসা সম্ভব হলো।

টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাসের বিষয়টি আলোর মুখ দেখলো ১৯৪১ সালে। ভাইরাসটি দেখতে একগাদা পাইপের মতো। ব্যাকটেরিয়ার উপরিভাগটায় ফ্যাজেজগুলো জমে থাকে। অন্য ভাইরাসগুলো দেখতে গুটিয়ে গোল হয়ে থাকা কেউটের মতো দেখতে। কোনো কোনোটা দেখতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফুটবলের মতো। সারস-কভ-২ জাতটার নাম করোনাভাইরাস। ১৯৬৭ সালে জুন আলমিদা এই নামকরণ করেছিলেন ভাইরাসটির ঘুর্ণায়মান প্রোটিনগুলোর জন্য। ভাইরাসটির চেহারা দেখার সময় তার কাছে সুর্যগ্রহণের দৃশ্যটিই মনে করিয়ে দেয়। সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের প্রবাহমান জ্যোতির্বলয়গুলো ঠিক দেখতে যেমন করোনা ভাইরাসটিরও ঠিক তেমন রূপ।      

আলমিদার মতো বিজ্ঞানীরা যখন ভাইরাসগুলোতে তাদের ইলেক্ট্রোন অনুবীক্ষণে দেখতে থাকলেন, একই সময়ে বায়োকেমিস্টরা সেগুলোকে খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করতে লাগলেন। এতে ভাইরাসে জীবনের বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা চললো আর বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন, কোষবিশিষ্ট জীবনের সঙ্গে এর জীবনচরিতের মিল নেই। ভাইরাসগুলো অধিকাংশই আমিষে তৈরি, ঠিক আমাদের মতো। এবং আমিষ তৈরির কারখানা ভাইরাসের নেই। খাদ্যকে জ্বালানিতে পাল্টে দিতে, কিংবা গুড়ো করতে যে জারক রস প্রয়োজন তা এদের নেই। 

ভাইরাসের অদ্ভুত প্রকৃতির কথা জানা গেলো যখন বিজ্ঞানীরা জৈবরসায়নের ভাষায় জীবনের নতুন সংজ্ঞা পুনর্লিখন করছিলেন। ভাইরাসগুলো নিজেরাই নিজেদের সংজ্ঞায়নকে দুষ্কর করে তুললো। যেমন এরা খায়না কিন্তু অনবরত বহুগুনে বাড়তে থাকে। নিজেরা গায় গতরে বাড়ে তা নয়, কিংবা প্রজননও করে না, অথচ বাড়তেই থাকে। একবার কোষের মধ্যে ঢুকে পড়লো ব্যস, এবার কোষের শক্তি, সুবিধা নিয়েই লক্ষ-কোটি পর্যন্ত নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হতে থাকে।

ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে। যা ভাইরাসের প্রতিষেধক। কোনোটি ৭০ শতাংশ, কোনোটি ৯০ শতাংশ কাজ করছে। তবে সেটি স্রেফ প্রতিষেধক। এই ভাইরাসকে বধ করতে পারার কী কৌশল? সে নিয়ে বিজ্ঞানীরা আজও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যা আদৌ জীবন্তই কী না, তা নিশ্চিত করা যায়নি, তাকে বধই বা কোন উপায়ে করা যাবে? 

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের প্রতিষেধক একটা আপাত সুরক্ষা হয়তো মিলেছে, কিন্তু কে জানে কবে কোন পথে আবার নতুন কোনো ভাইরাস হানা দেয়। আর কোভিড-ই তো নির্মূল হলো না। মূলত ভাইরাস কখনো নির্মূল হয়ও না। থেকে যায়। বিরাজ করে। মানুষকে শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা শিখতে হয়। কিন্তু একটি ১০০ ন্যানোমিটার পরিধির তরল বুদবুদ যে কাণ্ডটাই না ঘটালো, তাতে বাড়তি সতর্কতা, বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে। চিকিতসা বিজ্ঞানকেও অর্জন করতে হবে বাড়তি যোগ্যতা।