মন্ত্রণালয়-ওয়াটারএইড এমওইউ সই
রেল যাত্রীর জন্য হচ্ছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পাবলিক টয়লেট
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার
রেলের যাত্রীরা পাবে নিরাপদ টয়লেট, এমওইউ সই
ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ওয়াটারএইড রেল যাত্রীদের জন্য পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন (ওয়াশ) সংক্রান্ত পরিষেবাগুলোর উন্নত করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে কারিগরি সহায়তা দেবে।
যাত্রী ও সাধারণ মানুষের জন্য উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করতে রেলস্টেশনে তাদের জন্য পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও পরিচালনার উন্নত মডেল তৈরিতে কাজ করবে ওয়াটারএইড। যা পরবর্তীতে পারস্পরিক শিখন কর্মসূচির অনুসরণে (হরাইজন্টাল লার্নিং কর্মসূচি) সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সমঝোতা চুক্তির আওতায়, ওয়াটারএইড রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশনে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করবে এবং অন্যান্য স্টেশনগুলোতে পাবলিক টয়লেট এবং ওয়াশ পরিষেবা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে রেল কর্মীদের মাঝে পারস্পরিক শিখন কর্মসূচির শিখন সম্প্রসারণ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনে উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রেল সচিব মো. সেলিম রেজা, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং সিনিয়র ডিসেন্ট্রালাইজেশন ওয়াশ স্পেশালিষ্ট শান্তনু লাহিড়ী।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা রেলস্টেশনগুলোর সামগ্রিক ওয়াশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত পেশ করেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় পর্যায়ক্রমে তিনটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। নারী, পুরুষ, শিশু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের চাহিদা পূরণ করতে সার্বজনীন এই পাবলিক টয়লেটগুলো রেল স্টেশনের বাইরে নির্মাণ করা হবে। পাবলিক টয়লেটগুলোতে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা থাকবে। নারী কক্ষের জন্য নারী পরিচারিকা, লকার, হাত ধোয়ার জায়গা, শাওয়ার, পানীয় জলের সুবিধার পাশাপাশি থাকবে ২৪/৭ বিদ্যুৎ সুবিধা এবং নিরাপত্তা।
সবার জন্য নিরাপদ এবং আধুনিক পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে ওয়াটারএইড ইতিমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সহ সারাদেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ৪২টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও পরিচালনা করছে।