অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পিলখানা হত্যা মামলা: এক যুগেও হয়নি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

পিলখানা হত্যা মামলায় এক যুগেও হয়নি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

পিলখানা হত্যা মামলায় এক যুগেও হয়নি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

আজ থেকে এক যুগ আগে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমান নাম বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য। তারা পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরাও। দুদিনব্যাপী ওই বিদ্রোহ শেষে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

**পিলখানা ট্রাজেডির শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলাটি এখন আইনি লড়াইয়ে চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পেরোয়নি।

বিডিআরে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলার বিচার বাহিনীর নিজস্ব আদালতে শেষ হয়। সেখানে ছয় হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়। বিদ্রোহের বিচারের পর পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার শুরু হয় সাধারণ আদালতে।

দেশের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটি সবচেয়ে বড় মামলা। ২০১৭ সালে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তিন থেকে ১০ বছরের সাজা হয় ২২৮ জনের।

সেখানে বলা হয়, ওই ঘটনা ছিল রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক-সামাজিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। শুধু তাই নয়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি দক্ষ, প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ধ্বংসেরও চেষ্টা।

আসামিদের মধ্যে ২০৩ জন আসামির পক্ষে এখন পর্যন্ত ৪৮টি আপিল ও লিভ টু আপিল দয়ের করা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।  

অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে যারা খালাস পেয়েছেন এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরিবর্তে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে, সে রকম ৮৩ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে ২০টি লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সব মিলিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের ৭১টি আপিল ও লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি লিভ টু আপিল, অর্থাৎ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন। আর ৩২টি সরাসরি আপিল।