অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শাহজালাল থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা তুলছে অস্ট্রেলিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৮:১১ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার  

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বাংলাদেশের কার্গো ফ্লাইটে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে পাঁচ বছর বন্ধ রাখার পর ফের তা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে এখন মালবাহী উড়োজাহাজ সরাসরি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে। 

এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দেশের রপ্তানি ও আমদানিকারকরা।

২০১৫ সালে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচল বন্ধ করা করেছিলো অস্ট্রেলিয়া. যুক্তরাজ্য ও ইইউ। পাঁচ বছর পর অস্ট্রেলিয়া তুলে নিচ্ছে তাদের নিষেধাজ্ঞা। 

এতে খুশি রপ্তানিকারকরা। বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা মনে করছেন, এই প্রত্যাহারে তাদের রপ্তানি সুবিধা বাড়বে এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে। 

একটি হিসাব বলছে গতবছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাণিজ্য কমে যায়। আর রপ্তানিকারকরা এজন্য করোনা মহামারি ছাড়াও সরাসরি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ হওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখছেন। এই সময়টিতে রপ্তানিকারকদের কার্গোফ্লাইট ঢাকা থেকে অন্য একটি দেশ হয়ে তবেই অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হচ্ছিলো। তৃতীয় দেশটিতে নেমে নিরাপত্তা সনদ নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার পথে উড়াল দিতে পারতো বাংলাদেশি কার্গো উড়োজাহাজ।

২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের কোম্পানি রেডলাইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো কার্গোগুলো স্ক্রিনিং করার এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশক্তি প্রশিক্ষণের। তখন কার্গো এলাকায় বেশ কয়েকটি বিষ্ফোরক নির্ণয়ক বসানো হয়, এবং প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।   

২০১৮ সালে যুক্তরাজ্য কার্গো পরিচালনায় তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এবার অস্ট্রেলিয়া নিষেধাজ্ঞা তুলছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশি কার্গো বিমানের উপর তার নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে কার্গো শিপমেন্ট পাঠাতে বাংলাদেশকে এখনো কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা থাইল্যান্ডে নেমে অতিরিক্ত স্ক্রিনিং সম্পন্ন করিয়ে নিতে হয়।