অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন না থাকায় আল-জাজিরার ৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা ফেরত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৭:৫১ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

আল-জাজিরার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা ফ

আল-জাজিরার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা ফ

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এডিটর জেনারেলসহ চার জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি ফেরত দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালত মামলাটি ফেরত দেওয়ার আদেশ দেন। মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, নালিশকারিকে মামলা দায়েরে সরকার বা কর্তৃপক্ষের কেউ অথরিটি কিংবা আনুমতি দেয়নি। এর ফলে নালিশিকারীকে মামলাটি ফেরত দেওয়া হলো।

আল-জাজিরার এডিটর জেনারেলসহ চার জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে দায়ের করা মামলার আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল। মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মামলাটি দায়ের করা হয়।   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার এডিটর জেনারেল মোস্তেফা স্যোউয়াগ, সায়ের জুলকার নাইম সামি, তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যানকে আসামি করা হয়। 

আদেশে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সেরকম অনুমোদন না থাকায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হলো।

সম্প্রতি আল-জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিসটারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আাশেক ইমামের আদালত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মশিউর মালেক মামলাটির আবেদন জমা দেন। দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের আইনের ১২৪, ১২৪এ,১৪৯,৩৪ ধারায় মামলার আবেদন করা হয়েছিলো। 

মামলায় অভিযোগ ছিলো, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে  রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া, মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রচার করে। প্রতিবেদনটি ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করে। পরেরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় প্রচারিত হয়। এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ অগ্রসরমান মর্যাদায় উন্নীত হতে ধাবমান বাংলাদেশের জাতি ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার ক্ষতি করেছে। তাদের এমন অবৈধ ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করেছে। যা চলমান আছে। 

মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক আসামিদের করা অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিপূর্বক প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে তথ্য উদঘাটন ও ঘটনার নেপথ্যে মদদদাতা, অর্থ যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের নাম ঠিকানা উদঘাটন করে তাদেরও গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার প্রার্থণা জানান মশিউর মালেক।