অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ এপ্রিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে ৭ এপ্রিল থেকে

টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে ৭ এপ্রিল থেকে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সে হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল। এসব কথা বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৩৬ লাখের বেশি। তিনি বলেন, টিকার নতুন ডোজ দিতে বিশ্বের অনেক দেশই আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আগের ৭০ লাখ টিকার পাশাপাশি গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় আরো নতুন ২০ লাখ টিকা দেশে এসেছে। দেশে চলমান চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের টিকা প্রদান কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষক, বিমানের পাইলট, জাহাজের ক্রুসহ আরো অন্য ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।

এ মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে সেরামের থেকে তারা দিয়েছে ২০ লাখ। এজন্য বাকি ডোজ পেতে সেরাম ইনস্টিটিউটকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডাবল ডোজ পাওয়ার পরও বিদেশ যেতে হলে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ এর নিচে বয়স যাদের তারা টিকা পাবে না, যাদের বয়স বেশি তাদের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আর যেসব দেশের টিকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আছে বাংলাদেশ ওইসব দেশ থেকেই কেবল সেটি গ্রহণ করবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা টিকার দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজ দেশে এসে পৌঁছেছে। স্পাইস জেট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মুম্বাই থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান ঢাকায় আসে। বিমানবন্দর থেকে টিকা বেক্সিমকো তাদের ওয়্যারহাউসে নিয়ে যায়।

গত ২৫ জানুয়ারি দেশে অক্সফোর্ডের ৫০ লাখ করোনার টিকার চালান আসে। তার আগে ২০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এলেও সেটি ছিল বাংলাদেশকে দেওয়া ভারত সরকারের উপহার। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে চুক্তি ও শুভেচ্ছা মিলিয়ে সরকারের হাতে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আছে ৯০ লাখ।

৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬৪ জেলায় করোনাভাইরাসের গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।