অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আবুধাবিতে চলছে ন্যাভডেক্স ২০২১, বাংলাদেশ দেখাচ্ছে বানৌজা প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার  

আবুধাবিতে প্রদর্শনীতে বানৌজা প্রত্যয়

আবুধাবিতে প্রদর্শনীতে বানৌজা প্রত্যয়

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে চলছে নৌ-সক্ষমতার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ন্যাভডেক্স ২০২১। তাতে বাংলাদেশ থেকে প্রদর্শন করা হচ্ছে নৌ জাহাজ বিএনএস-প্রত্যয়। বানৌজা প্রত্যয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০৫৬ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী কর্ভেট। জাহাজটি চীনের উচ্যাং শিপইয়ার্ড থেকে তৈরি হয়ে এসেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এ ধরনের দুটি জাহাজ। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় বানৌজা প্রত্যয়।

৯০ মিটার দৈর্ঘের এই নৌজাহাজটি ১৩৩০ টন ধারণ ক্ষমতার যাতে বসানো হয়েছে জার্মানির তৈরি দুটি এসইএমটি পিয়েলসটিক ১২পিএ৬ ডিজেল ইঞ্জিন। যার সাহায্যে এটি সর্ব্বোচ্চ ২৫ নটিকেল মাইল গতিতে চলতে পারে। জাহাজে ১৮ অফিসারসহ ৭৮ নৌসেনা অবস্থান করে। জাহাজটির সামনে ও পিছনে দুইটি আলাদা পাওয়ার স্টেশন বসানো হয়েছে, যাতে একটি দিক ডুবে গেলেও অন্য দিকটা থেকে বিদ্যুত সরবরাহ থাকে।  জাহাজের সনাতনী সম্মুখভাগের পরিবর্তে বানৌজা- প্রত্যয়ের সামনের দিকটা ভি-আকৃতির যাতে উত্তাল সমূদ্রেও এটি দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম। 

এছাড়া বানৌজা প্রত্যয়ে রয়েছে একটি হেলিকপ্টার ডেক যাতে মাঝারি ধরনের হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারে।

কেলভিন হিউজেস'র তৈরি শার্পআই আই-ব্যান্ড (এক্স-ব্যান্ড) এবং শার্পআই ই/এফ-ব্যান্ড (এস-ব্যান্ড) রাডার বসানো রয়েছে এই জাহাজে। সমুদ্রপৃষ্ঠে অনুসন্ধান এবং নৌচালনার কাজে ব্যবহার করা হয় এই রাডার। এছাড়া হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরন নিয়ন্ত্রণেও এই রাডার ব্যবহার করা হয়।

জাহাজটির সম্মুখভাগে রয়েছে 

- একটি এইচ/পিজে-২৬ ৭৬ এমএম গান
- দুটি টু-সেল সি-৮০২এ জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র 
- দুইটি এইচ/পিজে-১৭ ৩০ এমএম দূর-নিয়ন্ত্রিত গান। 

আকাশপথে হামলা প্রতিরোধে রয়েছে একটি আট-সেল বিশিষ্ট এফএল-৩০০০ ক্ষেপণাস্ত্র। সমুদ্রতলদেশ থেকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে দুইটি ৬-টিউব বিশিষ্ট টাইপ ৮৭ ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার।