অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এশিয়া- প্যাসিফিক আন্তঃদেশীয় কাগজবিহীন বাণিজ্যচুক্তি কার্যকর ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার   আপডেট: ০৯:০৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শুক্রবার

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে সম্পাদিত “The Framework Agreement on Facilitation of Cross- border Paperless Trade in Asia and the Pacific” ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে কার্যকর হতে যাচ্ছে। UNESCAP এর সহায়তায় ২৫ টি দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ২০১৬ সনে ESCAP ভুক্ত সদস্য দেশ এই ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিটি গ্রহণ করে। কাগজবিহীন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাটা ও ডকুমেন্ট আদান প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে এ চুক্তিটি গৃহীত হয়। বর্তমানে ESCAP ভুক্ত ৫৩ টি সদস্য দেশ এ চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, ইরান, ফিলিপাইন ইতোমধ্যেই চুক্তিটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনুসমর্থন করে চুক্তির পক্ষ হয়েছে । এছাড়া আর্মেনিয়া ও কম্বোডিয়া চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ESCAP ভুক্ত অন্যান্য দেশ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

কোভিড-১৯ এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার (আমদানি-রপ্তানি) ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা দূরীকরণে পেপারলেস ট্রেড/ ডিজিটাল ট্রেড পদ্ধতি ইতোমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে। কোভিডোত্তর বিশ্ব বাণিজ্যে আন্তঃদেশীয় কাগজবিহীন বাণিজ্য ব্যবস্থা বাণিজ্য সহজীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এতে দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, ই-কমার্স ও ডিজিটাল অর্থনীতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে Framework Agreement টি বাস্তবায়নের ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্পাদনের সময় ও ব্যয় কমবে।

UNESCAP এর  প্রকাশনা থেকে জানা যায় যে, WTO Trade Facilitation Agreement ও UNESCAP Cross- border Paperless Trade সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাবদ খরচ তেত্রিশ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে যার আর্থিক মূল্য বার্ষিক দশমিক সাত বিলিয়ন  মার্কিন ডলার। উন্নয়নশীল দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য বাণিজ্য সংকোচন মোকাবিলায় বাংলাদেশ এ Agreement এর আওতায় কারিগরী সহযোগিতা পেতে পারে।

চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে। এছাড়া, সরকারের ওয়ানস্টপ সার্ভিস ও ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উচ্চ আয়ের দেশ (উন্নত বাংলাদেশ) গঠনের স্বপ্ন ত্বরান্বিত হবে।

এই আন্তঃদেশীয় কাগজবিহীন বাণিজ্য চুক্তিটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ ও নমনীয়। ডিজিটালাইজেশনের যে কোনও পর্যায়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল নির্বিশেষে ESCAP ভুক্ত যে কোন দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে পারে। চুক্তিটি কার্যকর করা হলে ডব্লিউটিও-টিএফএ এবং ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো পদ্ধতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ  আন্তঃদেশীয় কাগজবিহীন বাণিজ্য চুক্তিতে যোগ দিয়ে বাণিজ্য সক্ষমতা বাড়াতে পারে। একইসাথে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ ই-কমার্স ও ডিজিটাল ইকোনমির ক্ষেত্রে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে পারবে।