অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেও সংগ্রাম করতে হচ্ছে ভোটাধিকারের জন্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহ চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে। তাই এখানকার ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধপূর্ব এবং যুদ্ধকালীন অবিস্মরণীয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নীরব ছিলেন না। এদেশের সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করে তিনি পাক সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছেন। 

তিনি বলেন, পাকিস্তান ভোটাধিকার হরণ করায়, সেই দিন এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে সম্মুখ যুদ্ধ করেছিলেন। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে গিয়েও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে নির্লজ্জভাবে।

সোমবার দুপুরে নগরীর ক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরের সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজনীতিবিদরা যখন ইতিহাস রচনা করেন, তখন সেই ইতিহাস হয় প্রোপাগান্ডা। 

তিনি বলেন, একমাত্র ইতিহাসবিদরাই সত্যিকারের ইতিহাস রচনা করতে পারেন। তাই আমি মনে করি, যারা ইতিহাসবিদ তারাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সত্যিকারের ইতিহাস পৌঁছে দেবেন। ইতিহাস বিকৃতকারীদের এদেশের আপামর জনগণ চিনে নিয়েছেন। তাই ইতিহাসকে বিকৃত করে জনসম্মুখে তুলে ধরে নিজেরাই নিজেদের আসল রূপের বহিঃপ্রকাশ করছেন জনসম্মুখে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে আরো অনেক সংগ্রাম করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ’৬৯ সালের গণআন্দোলন হয়েছে। স্বাধীনতার আন্দোলন এদেশের কোনও একক দল বা ব্যক্তি করেননি। সর্বদলীয় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকা শহরসহ সারাদেশের রাজপথে আগুন জ্বলে উঠেছিল একসাথে। 

তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী, স্যার সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ অসংখ্য নেতার অবদান রয়েছে এসব সংগ্রাম ও যুদ্ধের সঙ্গে। একটি যুদ্ধের ইতিহাস একদিনে রচিত হয়নি। এর আগে আরো অনেক ইতিহাস রয়েছে। পরেও রয়েছে অনেক ইতিহাস। গত কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসসহ সবধরনের ইতিহাসকে ব্লেকআউট করার অপচেষ্টা চলছে। 

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। সত্য ইতিহাস এ প্রজন্মের ইতিহাসবিদরাই রচনা করবেন। দেশের মানুষকে মনে রাখা উচিত দলের চাইতে দেশের ইতিহাস অনেক বড়। তাই সঠিক ইতিহাস মেনেই যেকোনও রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলা উচিত।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য-সচিব শামা ওবায়েদ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য এডভোকেট ফারজানা শারমিন প্রমুখ।