অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফসলি জমিতে নষ্ট করে খাল খননের অভিযোগ পাউবোর বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা

প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

বরগুনার তালতলীতে সরকারি খাল কাটার নামে কৃষকের ফসলী জমি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরুদ্ধে।

উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া গ্রাম থেকে বড় অমখোলা গ্রাম পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে পাউবো খাল খনন করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগে জানা যায়, সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া গ্রামে ফসলী বিলে স্থানীয় ফারুক খানের মালিকানাধীন জমি কেটে খাল খননে তৎপর হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। ২০০৮ সালে রাখাইনদের বন্দোবস্তপ্রাপ্ত কৃষি খাস জমি থেকে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ক্রয় সূত্রে মালিক হন তিনি।

গত বছর পাউবো ওই জমিতে খাল কাটার একটি অনুমোদন করে। জমি মাপতে এলে খাল খনন করতে নিষেধ করলে তা না মানায় এ নিয়ে ফারুখ খান আদালতে মামলা করেন। এরপর এগারো বার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য ডাকা হলেও শেষপর্যন্ত শুনানি হয়নি।

এ বিষয়ে জমির মালিক ফারুক খান বলেন, আদালতের আইন অমান্য করে ঠিকাদার দুইটি ভেকু দিয়ে খাল কাটতে আসে। সকালে খাল কাটা শুরু করেলে ঠিকাদার সুমনকে ফোন দিলে সুমন ওই জমিতে যেতে নিষেধ করে এবং সেখানে গেলে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। অপরদিকে ঠিকাদার সুমন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো কথা তিনি জানেন না।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, উপকূলীয় উন্নয়ন সংস্থার আওতায় সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা থেকে কবিরাজ পাড়া গ্রামে ৭০০ মিটার খাল খনন করা হচ্ছে যার ব্যায় ধরা হয়েছে ১২ লাক্ষ টাকা। কাজটি করছেন মিজানুর লিমিটেড ও নূর হোসেন লিমিটেড নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ফারুক খান বলেন, আদালতের আইন অমান্য করে খাল খনন করায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে কিছু সময়ের জন্য কাজ বন্ধ করে দিলেও পুলিশ যাওয়ার পরে আবার কাজ শুরু হয়।

জেলার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার জানান, ওই খাল খননের কারণে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। যদি মালিকানাধীন জমি হয় তাহলে তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।