অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সাইমুম তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৭:০৯ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

হাস্যোজ্জ্বল মুখখানি দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কতখানি যন্ত্রণা পুষে রাখছে। আড্ডা, ক্লাস, বন্ধুমহল - সবখানে মধ্যমনি সে। আড্ডাবাজিতে যেমন সবার আগে, পড়াশোনাতেও তেমন তুখোড়! স্নাতকে হয়েছে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয়। ক্রাচ হাতে আহত যোদ্ধার মতো বিচরণ করেছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

বলছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইমুম ইফতেখারের কথা। সাইমুম নামের অর্থ ঝড়ো হাওয়া। নামের মতোই উত্তাল এ সংগ্রামী তরুণ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সম্মান প্রথম বর্ষে থাকাকালীন ২০১৫ সালে সাইমুমের মরনঘাতী ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরের বছর অপারেশন করে তার পায়ে কৃত্রিম হাঁটু বসানো হয়। চিকিৎসার জন্য ভারতের ভেলোর হাসপাতালে গিয়ে হাসতে হাসতে কেমোথেরাপি দিত সে। সেই মুহূর্তগুলোর সেলফিও দিতো ফেসবুকে।

পাঁচ বছর ধরে হাসিমুখে যুদ্ধ করে আসছে সাইমুম। হেরে যেতে একদমই রাজি নয় সে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে পড়াশুনা ছাড়েনি। কেমোথেরাপি দিয়ে দুদিনের মাথায় পরীক্ষার টেবিলে হাজির হয়ে যেতো সে। দারুণ অনুবাদ, গল্প ও কবিতা লেখায়ও জুড়ি নেই তার।

ক্যান্সারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চাকরি জীবনের প্রস্ততি নিচ্ছিলো সাইমুম। কিন্ত মহামারী এসে আটকে দেয় তার পথচলা। করোনার কারণে রেগুলার চেকআপ করতে পারেনি। আক্রান্ত হয় নিজেও। এরই মধ্যে ফুসফুসে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে। লকডাউনের কারণে চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হয়।

সাইমুম এখন চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালের ক্যান্সার সেন্টারে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। করতে হবে ২টি বড় অপারেশন। সব মিলিয়ে দরকার অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে গত কয়েক বছরে তার চিকিৎসা বাবদ ২০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। বড় অংকের টাকা জোগাতে জোগাতে ক্লান্ত তার মধ্যবিত্ত পরিবার। এবার এ বিশাল অংকের টাকা জোগাতে না পেরে আহাজারি করছেন তার বাবা-মা।

আপনারা এগিয়ে না আসলে হয়তো সাইমুমের এই অমলিন হাসি অচিরেই মলিন হয়ে যাবে। নিভে যাবে একটি প্রতিভাবান প্রাণ। দেশের কল্যাণে আগামীতে কাজ করতে বদ্ধপরিকর সে। একটি মেধাবী, সৃজনশীল, প্রাণবন্ত তারুণ্যকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। আপনাদের দোয়া ও অর্থ সহযোগিতা একান্ত কাম্য। এ মুহূর্তে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুই বন্ধ। ফলে আগের মতো ফান্ড কালেকশনের সুযোগও নেই।

অর্থ সহায়তা করতে:
মিজান (০১৮১৪৪৩৯৩০৫, বিকাশ পার্সোনাল)
আরিফ (০১৭৩০৩৫৫১৯৭, বিকাশ পার্সোনাল)

ব্যাংক একাউন্ট:
মোঃ মিজানুর রহমান
ব্যাংক একাউন্ট নম্বরঃ ১৮১২৭৬৩৭০০১
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
আগ্রাবাদ শাখা, চট্টগ্রাম।

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে:
মোঃ মিজানুর রহমান
একাউন্ট নম্বর: ১৮১২৭৬৩৭০০১
রুটিং নম্বর: ২১৫১৫২১৪৩
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
আগ্রাবাদ শাখা, চট্টগ্রাম।