অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কোভেক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় করোনার টিকা দ্রুত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার  

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, বিশেষ করে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে কোভেক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় করোনা ভাইরাসের টিকা দ্রুত সরবরাহের লক্ষ্যে দৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। 

জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৪৮তম সভায় এই আহ্বান জানান। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ গাভি দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, সিইপিআই এবং ইউনিসেফের প্রতি এই আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, "চলমান মহামারী বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে উন্মোচিত করেছে’। কোভিড-১৯ ও মহামারী পরবর্তী সময়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের প্রয়োজন।"

রাষ্ট্রদূত রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স (এএমআর) সংক্রান্ত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স’ গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে মনোনীত করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, পশু স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব সংস্থা (ওআইই) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদরোস আধানোম গেব্রোয়াসুস গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া, ড. তেদরোস করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত ও সঠিক সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে একটি পত্র প্রেরণ করেন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারেরে সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।  

এবারের নির্বাহী বোর্ডের সভায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ৫০ টি বিষয়ের উপর বিশদ আলোচনা হয়। এসময় ৫টি রেজুলেশন ও ১৩টি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বাংলাদেশ মানসিক স্বাস্থ্য এবং ওরাল হেলথ বিষয়ক রেজুলেশন দু’টি কো-স্পন্সর করে। এছাড়া, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সদস্য দেশগুলোর পক্ষে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেজুলেশনটির উপর একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। 

গত ১৮জানুয়ারি শুরু হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভাস্থ সদরদপ্তরে নির্বাহী বোর্ডের ১৪৮তম সভা ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এই ভার্চুয়াল সভায় নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় সকল আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে বলে জেনাভাস্থ স্থায়ী প্রতিনিধির দফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।