অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নকশীকাঁথার ১৫তে পা

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার  

লোকগানভিত্তিক গানের দল নকশীকাঁথা পথচলা ১৪ বছর পূর্ণ করে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দেড় দশকে পা দিলো। বিলুপ্তপ্রায় লোকগানের ধারাগুলো থেকে কিছু কিছু ধারা ফিরিয়ে এনে সেগুলো আরও আকর্ষণীয়রূপে পরিবেশন করার চিন্তা থেকেই এর জন্ম। জন্মদিন উপলক্ষে এদিন রাত সাড়ে ৮টায় এক বিশেষ ফেসবুক লাইভে অংশ নেবেন নকশীকাঁথার সদস্যরা। 

এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ভোকাল সাজেদ ফাতেমী বলেন, এটি আমাদের জন্য সত্যিই বড় ঘটনা। তবে করোনার কারণে অনেক দিন মঞ্চ ও টেলিভিশনের  কনসার্টে অংশ নেয়া হচ্ছে না। এজন্য মনটা কাঁদে। তবে আশা করছি, শিগগির সব কিছু স্বাভাবিক হবে। আমরা মঞ্চে ও টেলিভিশনে ফিরতে পারবো। 

তিনি বলেন, আমাদের এতদূর এগিয়ে আসতে পারার জন্য গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা আছে। সেইসঙ্গে দর্শক-শ্রোতারা তো আছেনই। তারাই আমাদের প্রাণ। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।  

গত ১৪ বছরে নকশীকাঁথার অর্জন অনেক। ২০১৮ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে অংশগ্রহণ অন্যতম অর্জন। নজর রাখিস (২০০৮) ও নকশীকাঁথার গান (২০১৬) শিরোনামে দুটি অ্যালবামসহ সব মিলিয়ে গানের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। 

প্রকাশিত মিউজিক ভিডিও ৩০টি। নকশীকাঁথার গানের বিষয় ও বৈচিত্র্য নজর রাখিস শিরোনামে অ্যালবামটির গানগুলো মুলত বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে। নদী বাঁচানোর গান, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বাঁচানোর গান ফ্যান্টাসি ও আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ। নকশীকাঁথার গান শিরোনামে অ্যালবামে ময়মনসিং গীতিকা, নেপালি লোকগানের আদলে গান, আধ্যাত্মিক গান, ভাটিয়ালি ও প্রচলিত স্রোতে গা না ভাসানোর আহ্বান-সংবলিত গান আছে। 

এছাড়া বাংলা ভাষার দুর্গতি নিয়ে গান ও পুথি এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুটি গান প্রকাশ করেছে নকশীকাঁথা।  এর সদস্যরা বিশ্বাস করেন, একজন সচেতন মানুষের চিন্তা-চেতনার জগৎকে শাণিত করা এবং তার নিজের চেতনার ভেতরে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত বহু ভ্রান্ত মতামত থেকে তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো কালচারাল মোটিভেশন। 

তারা মানেন, আর এর নিয়ামক শক্তি হলো নিজস্ব সংস্কৃতি- যার অন্যতম উপাদান হলো লোকগান। একটি সুন্দর গান যেমন মুহূর্তে মানুষের দুঃখ-কষ্ট-হতাশা মুছে দিতে পারে, তেমনি সেই গানই মানুষের ভালো কাজে প্রেরণা পাওয়ার অনন্ত উৎস হয়ে উঠতে পারে। 

সাজেদ ফাতেমী বলেন, আপনাদের সবার ভালোবাসায় এতদূর এসেছি। সেই ভালোবাসা নিয়ে যেতে চাই আরও বহুদূর- জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।