অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

হাইড্রোজেন জ্বালানির পথে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৫:৪৯ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

এবার হাইড্রোজেন উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হাইড্রোজেন উৎপাদনের পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ক্লিন এনার্জির পথে দেশকে এগিয়ে নিতেই এই উদ্যোগ। আর এই পথ চলার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে একটি গবেষণা কেন্দ্র ও একটি পাইলট প্রোসেসিং প্ল্যান্ট। 

দেশের জ্বালানি খাত এখন প্রধানত গ্যাস ও কয়লায় নির্ভরশীল। সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের দিকে যাওয়া। আর সে কারণেই এই হাইড্রোজেন জ্বালানির উদ্যোগ। ঘর-গৃহস্থালির আবর্জনা আর উদ্ভিজ ও প্রাণিজ আবর্জনা এখন এই হাইড্রোজেন প্ল্যান্টের মূল উপাদান। শিগগিরই ময়লা পরিত্যক্ত পানিকেও ব্যবহার করা হবে হাইড্রোজেন প্ল্যান্টের কাঁচামাল হিসেবে। 

২০৩০ সাল নাগাদ ব্যাপকহারে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহারে যেতে পারবে দেশ। বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর)`র তত্ত্বাবধানে এই হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখানকার গবেষক ও বিজ্ঞানীরা নিজেদের প্রস্তুত করছেন দেশের জ্বালানি উৎপাদনে নতুন নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে, এবং প্রাকৃতিক জ্বালানি উপাদানের ওপর চাপ কমিয়ে দুষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির সরবরাহ বাড়ানো। 

সম্প্রতি বিসিএসআইআর জানিয়েছে, দেশের মোট জ্বালানি চাহিদার ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই এগুচ্ছে তারা। দেশের সনাতনি জ্বালানিগুলোর চেয়ে হাইড্রোজেন জ্বালানিতে অর্থ সাশ্রয় প্রায় তিনগুন। এক কেজি হাইড্রোজেন ফুয়েল থেকে ৩৩.৩৩ কিলোওয়াট জ্বালানিশক্তি উৎপাদন সম্ভব। যেখানে পেট্রোল থেকে ১২কিলোওয়াট এবং সিএনজি থেকে ১৪.৭ কিলোওয়াট জ্বালানিশক্তি পাওয়া যায়। ১ কেজি হাইড্রোজেন ব্যবহার করে ১০০ থেকে ১৩১ কিমি গাড়ি চলে, যেখানে পেট্রোলে তা ১৬ কিমির বেশি নয়।