অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জানালেন বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক

বইমেলা হতে পারে এপ্রিল বা মে তে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৮ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৬:৩৫ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

করোনার হামলা এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতেতো নয়ই, মার্চেও হচ্ছে না বাঙালির এই প্রাণের মেলা। একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এপ্রিল বা মে মাসে বই মেলার আয়োজন করা হতে পারে। তবে প্রকাশকরা চাইছেন, অন্তত মার্চ মাসে সংক্ষিপ্ত আকারে ৭ মার্চ  থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বইমেলা হলেও কিছুটা রক্ষা হয় তাদের। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, গত সপ্তাহে প্রকাশকদের সঙ্গে তিনি বসেছিলেন মেলা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। এরপর আগামী ১ মার্চ থেকে মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে সম্মিলিতভাবে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

মহাপরিচালক বলেন, সেই চিঠির জবাব না পেলেও রবিবার (৮ জানুয়ারি) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় থেকে শিগগিরই একাডেমিকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে, করোনার এই পরিস্থিতিতে মার্চ মাসে শারীরিক উপস্থিতিতে বইমেলার আয়োজন হয়তো সম্ভব নয়।

তিনি আরও জানান, ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজন করা হচ্ছে। এপ্রিলে রোজা শুরু হবে, বৃষ্টিবাদলও শুরু হবে। তবে তার ভেতরেও এপ্রিল বা মে তে করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে, মাঠের ভেতরে তাবু বা ত্রিপল টাঙিয়ে হলেও সর্বোচ্চ সুব্যবস্থায় মেলা আয়োজনের চেষ্টা করবে বাংলা একাডেমি।

তবে বাংলা একাডেমির পুরস্কার ফেব্রুয়ারিতেই দেয়া হবে, সেটা ভার্চুয়ালি বা সংক্ষিপ্ত আকারে হোক না কেন, এই সময়মীমা পেছানো হবে না বলেও জানান মহাপরিচালক। 

মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের এই বইমেলা এখন বাঙালির মননের মেলায় পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেন।

১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।

১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা আর করা যায়নি। পরের বছর ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সূচনা হয়।