অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সিসিমপুর এবার মাছরাঙা টেলিভিশনে

প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২০ শনিবার  

শিশুদের প্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান সিসিমপুর। অন্যদিকে শিশুদের প্রিয় টিভি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশন। দুই প্রিয় মিলে শিশুদের জন্য নিয়ে আসছে আনন্দ সংবাদ। ১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার থেকে সিসিমপুর প্রচারিত হতে যাচ্ছে মাছরাঙা’র পর্দায়। সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রচারিত হবে সিসিমপুর। সেই সাথে প্রতি শুক্রবার প্রচারিত হবে সকাল ৯টায়।

এ প্রসঙ্গে সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সিসিমপুর প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশে একটি অনন্য উদ্যোগ- যার প্রতিটি অংশ গবেষণালব্ধ এবং শিশুদের মনস্তাত্বিক দিককে মাথায় রেখে নির্মিত। আমরা সব সময়ই চাই সিসিমপুরের এই প্রয়াস পৌঁছে যাক বাংলাদেশের সকল শিশুর কাছে। তারই অংশ হিসেবে এখন থেকে দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনে দেখা যাবে সিসিমপুর। সিসিমপুরের নতুন-পুরোনো সব পর্বই থাকছে মাছরাঙায়। ফলে ছোট্ট বন্ধুরা যারা বারবার সিসিমপুর দেখতে চায় তাদের জন্য এই উদ্যোগটি অনেক কাজে লাগবে। সেই সাথে আরও ছোট্ট বন্ধু, যারা এবারই প্রথম সিসিমপুর দেখছে, তারাও পাবে সিসিমপুরের অনেক পর্ব একসাথে দেখার সুযোগ।

উল্লেখ্য, সিসিমপুর বিশ্বখ্যাত আমেরিকান টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিসেমি স্ট্রিট’র বাংলাদেশী সংস্করণ। শিশুদের ভাষা, সাক্ষরতা, গণিত, সামাজিক, মানসিক ও মানবিক দক্ষতা বিকাশের জন্য সিসেমি স্ট্রিট কাজ করছে পৃথিবীব্যাপী দেড় শতাধিক দেশে। প্রাক প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরো সম্পন্ন, আরো সবল এবং আরো সদয়’-এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।

২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত একটি জরিপে সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে শীর্ষস্থানীয় এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হয়েছে। ২০০৭ সালে পরিচালিত এসিপিআরের একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে, তারা তাদের চাইতে এক বছরের বড় শিশু, যারা সিসিমপুর দেখে না, তাদের চেয়ে ভাষা ও বর্ণ, গণিত এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশে সিমিপুরের যাত্রা, নির্মাণ এবং সম্প্রচার সম্ভব হয়েছে ইউএসএআইডি’র সহায়তায়।