অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

তীব্র দাবদাহে গাজায় মহামারির শঙ্কা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার  

বিশ্বজুড়ে এল নিনোর প্রভাবে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। তীব্র দাবদাহ অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। প্রকৃতির এমন বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাও। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছে। এতে শরণার্থী শিবিরে থাকা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজা সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 

তাপপ্রবাহের তীব্রতা নিয়ে গাজা সিভিল ডিফেন্স একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গাজার দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত শিবিরে মানুষের দুর্ভোগ তাপপ্রবাহের তীব্রতার সাথে বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই পরিস্থিতি ‘তাদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে মহামারি এবং রোগের বিস্তারের পূর্বাভাস দেয়।’ এই পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি আহ্বান জানানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘শত-হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জীবন বাঁচাতে এবং আগামী দিনে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে তাঁবুর বিকল্প জায়গা খোঁজার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’ 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরাও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকের মতে, অতিরিক্ত এই তাপপ্রবাহ দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এমনকি তাদের মতে, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি এবং বর্জ্য নিষ্পত্তির অভাবে রোগের প্রাদুর্ভাবের নতুন ভয়ের জন্ম দিয়েছে। তাপমাত্রা নিয়ে আতঙ্কিত শরণার্থী শিবিরের ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকত বাস্তুচ্যুতরাও। 

তাদের মতে, এই তাপমাত্রা সামনে আরও বেড়ে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এ বিষয়ে পপ-আপ ক্লিনিকের পরিচালক ড. আহমেদ হনৌদা বলেন, ‘গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার সাথে সাথে পানির স্বল্পতা এবং অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অসুবিধা বেড়ে যায়, যার ফলে সংক্রামক রোগ, ত্বকের সংবেদনশীলতা, উকুন এবং অন্যান্য অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি এবং উপলব্ধ সংস্থানগুলোর উপর ভিত্তি করে এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বাস্তুচ্যুত লোকদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আগামী দিনে আরও ভালো পরিষেবা প্রদান এবং আরও ভালো সুবিধা প্রদানের জন্য উন্মুখ।’ 

এ বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকও। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই নৃশংস। কঠিন বর্জ্য শোধনের পুরো ব্যবস্থাটি মূলত স্যানিটেশন প্রভাবের কারণে ভেঙে পড়েছে।’