অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার  

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ইমিগ্রেশন ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ায় বিআইডব্লিটিএ ঘাট থেকে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।

গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর সাড়ে ৯টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূল হয়ে রাখাইন রাজ্যের সিথুরে (আকিয়াব) বন্দরের দিকে রওনা হয় সেনা ও বিজিপির সদস্যবাহী জাহাজ ‘চিন ডুইন’।

বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটের কাছে বিজিবির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয় সকালে। এতে বিজিবির প্রতিনিধিদল ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

যে জাহাজে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ফিরে গেলেন এই জাহাজেই বুধবার দুপুরে দেশটির কারাগারে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া ১৭৩ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিজিবি, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৮৮ জনের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য আছেন ২৬১ জন, সেনাসদস্য ২৩ জন এবং বাকি ৪ জন ইমিগ্রেশন সদস্য।

গত ৩ মার্চ থেকে মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে একাধিক দফায় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর ২৮৮ জন সদস্য নাফ নদী ও স্থলসীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেন।

এতদিন তাদের বিজিবির হেফাজতে নাইক্ষ্যংছড়ির একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিল।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।