ঈদের আগে জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তি সম্ভবনা নেই!
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৪ রোববার
ফাইল ছবি
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিককে ঈদের আগে মুক্ত করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে— ঈদের আগেই ফিরিয়ে আনা হবে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিককে। তবে গণমাধ্যমের এমন দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শনিবার দুপুরে কেএসআরএম মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম বলেন, ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে তাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পূর্ব অভিজ্ঞতায় আমরা বলতে পারি- ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।’
কারণ হিসেবে কেএসআরএমের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে ফিরিয়ে আনার বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে তাদের ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।’
এদিকে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে জিম্মি থাকা জাহাজটিতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। জিম্মি হওয়ার আগে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুত ছিল জাহাজে। এখন নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
মালিকপক্ষ থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুত ছিল। তবে শুকনা খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
