অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

যক্ষ্মা থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি দরকার সচেতনতা

ডা. আয়েশা আক্তার

প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৪ রোববার   আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২৪ রোববার

ডা. আয়েশা আক্তার

ডা. আয়েশা আক্তার

২০২৩ সালে দেশে দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ৩,০১,৫৬৪ জন। এরমধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষা রোগী হচ্ছেন ২৭২৯ জন। অন্যদিকে ২০১৫ সালে  জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি তথ্য মতে ওই বছরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ছিল দুই লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ জন। ২০১৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু হয়েছিল প্রতি লাখে ৪৫ জনের। আর ২০২৩ সালে সেটি কমে হয়েছে প্রতি লাখে ২৫ জন। 

২০১৫ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। আবার ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। সেটা একটা ভালো দিক। কারণ বোঝা যাচ্ছে যক্ষ্মার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেক বাড়ছে ফলে শনাক্তের হার বাড়ছে। আর যত বেশি শনাক্ত হবে তত বেশি রোগ নিয়ন্ত্রণে আসবে। আগে মানুষ সচেতন ছিল না। এখন মানুষ ছিল যক্ষ্মা রোগটা সম্বন্ধে জানে তাই হাসপাতালে আসে। দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসাটা শুরু করলে রোগটা ছাড়াতে পারে না। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া গেলে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ।

এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হ্যাঁ! আমরা যক্ষা  নির্মূল করতে পারি’। এর আলোকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছি আমরা। বর্তমানে ওষুধ  প্রতিরোধী  যক্ষা আক্রান্ত ( MDR) রোগীর সংখ্যা ২৭২৯ জন। এ রোগের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি তবে নিয়মিত পূর্ণ মেয়েদের চিকিৎসা নিলেেএ রোগ নির্মূল হয়ে যায়। তাই সবার জন্য সচেতন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
 
যক্ষ্মার ওষুধ ঠিকমতো না খেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়  যক্ষার জীবাণু ওই ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাই ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খেতে হবে এবং নিজেকে বাঁচাতে হবে, পরিবারকে বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে।

আসুন আমরা সবাই মিলে সচেতন হই এবং দেশ থেকে যক্ষ্মা  নির্মূল  এর লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করি।

ডা. আয়েশা আক্তার: উপ-পরিচালক, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।