অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন

পরবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার   আপডেট: ১০:৩৩ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

যথাযথ মর্যাদা এবং নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০তম মহান বিজয় দিবস পালন করেছে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীপাঠ করা হয়। বিকেলে হয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা। এছাড়া জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের জন্য হয় বিশেষ মোনাজাত। 

ইরানে প্রথমবারের মত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ইরান ডেইলিতে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রকাশিত হয়।

রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আযম সরকারের সভাপতিত্বে এবং দূতালয় প্রধান মোঃ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক আহমদ সাদেগি, ফার্সি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর প্রকাশক মোঃ সাদেগ সামি, সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ এজাজ হোসেন, রেডিও তেহরান বাংলা সার্ভিসের সাংবাদিক সোহেল আহমদ, দূতাবাসের কমার্সিয়াল কাউন্সেলর মোঃ সবুর হোসেনসহ তেহরান, শিরাজ, ইস্পাহান ও কোমে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি আলোচনায় অংশ নেন। 

বক্তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার ইতিহাস ও জাতির পিতার অবদান ও স্বপ্নের ওপর আলোকপাত করেন। এছাড়া সৈয়দ মুসা রেজা স্বরচিত ছড়া এবং আবৃত্তিকার নাসির মাহমুদ কবিতা পাঠ করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, সম্ভ্রমহারা মা-বোন, এবং ত্যাগস্বীকারকারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে স্বাধীনতা অর্জনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এবং বলেন, তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে এবং স্বাধীনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলনের পরিক্রমায় ’৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রামে নেমে অনেক ত্যাগ ও মূল্যের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিনবছরে স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্কে সংযুক্ত হয় এবং অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়।