অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার  

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা নামলেই এক অসামান্য রজনির দেখা মিলবে। এ রজনি মহাপবিত্র ও মহিমান্বিত লাইলাতুল মেরাজ। মহাপূণ্যে ঘেরা এই রাতে আমাদের প্রিয়নবী (স.) পবিত্র কাবাঘর থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে একে একে সপ্তাকাশ পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের অপার রহস্য।

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা শবে মেরাজ। ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরো নবুয়তের ইতিহাসেও এটি এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসুল হজরত মোহাম্মদ (স) ছাড়া অন্য কোনো নবী এ পরম সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।

মেরাজ শব্দটি আরবি, এর অর্থ ঊর্ধারোহণ। লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজের অর্থ উরধারোহনের রাত। স্বচক্ষে বেহেশত-দোজখ অবলোকন, পূর্ববর্তী নবী-রসুলদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও পরিচিতি, সুবিশাল নভোমণ্ডল পরিভ্রমণ, মহাকাশ, আরশ, কুরসি, লওহ, কলম প্রভৃতি সামনাসামনি সশরীরে দেখা, সর্বোপরি মহান রবের সঙ্গে পবিত্র দিদারের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে, একইভাবে তাঁর উম্মতকেও সৌভাগ্যমণ্ডিত করেন।

এতে সৃষ্টিজগতের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাইয়েদুল আম্বিয়া হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর সুমহান মর্যাদা। ইসরা ও মিরাজের এ ঘটনায় একদিকে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও নির্দেশনা, অন্যদিকে সেখানে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য ইলাহি হেকমত ও রহস্য।
কোরআন-হাদিস দ্বারা নিশ্চিত প্রমাণিত বিষয়টি নির্দ্বিধায় মেনে নেওয়া মুমিনের কর্তব্য। মহানবী (স.)-এর সীরাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এই মহাঅলৌকিক ঘটনা ইসলামী আক্বীদা ও বিশ্বাসের অংশ।

রাসুলুল্লাহ (স.)-এর মেরাজ শোনামাত্রই সংশয়হীনভাবে বিশ্বাস করেছিলেন হজরত আবু বকর (রা.), ফলে রাসুল (স.) তাকে সিদ্দিক বা বিশ্বাসী খেতাব দেন। আর আবু জাহেল ও তাঁর সঙ্গীরা করেছিল বাড়াবাড়ি। মহান আল্লাহ কাফেরদের বাড়াবাড়ির জবাব দেন এভাবে— ‘তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হননি, বিপথগামীও হননি। আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না’ (সুরা নাজম: ২-৩)। ‘তোমরা কি সেই বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে?’ (সুরা নাজম: ১২)

‘তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হননি, বিপথগামীও হননি। আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না’ (সুরা নাজম: ২-৩)। ‘তোমরা কি সেই বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে?’ (সুরা নাজম: ১২)

তার দৃষ্টিভ্রম হয়নি এবং তিনি সীমালঙ্গনও করেননি। নিশ্চয়ই তিনি তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছেন। -সুরা নাজম: ১৭-১৮

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ কোরআনখানি, নফল সালাত, জিকির আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবেমেরাজ পালন করবেন।