আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ কমাতে স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার সংশোধন আইন ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে এই আইনটি দু'বছর পরপর আর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না, এটি স্থায়ী আইনে রূপান্তরিত হলো। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম যখন বিচার আইন প্রণয়ন করা হয়, তখন এর মেয়াদ ছিল দু’বছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফলে নতুন করে আর মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, আইনটির অনেক সুফল আছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে খুব কাজে লেগেছে, তাই আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছে তারা।
রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের ওপর দ্রুত বিচার আইনের বেশি প্রয়োগ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই লাইনে আলোচনা হয়নি। আজ পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে এই আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা সেটি গ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন। দ্রুত বিচার আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে।
