অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের নিয়োগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার  

২৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম সভায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে সায়মা ওয়াজেদের নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারতের নয়াদিল্লিস্থ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভায় অনুমোদনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন, এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ এর নিয়োগ বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে আগামী দিনগুলোতে স্বাস্থ্য খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

নিয়োগদান প্রক্রিয়া শেষ হলে সন্ধ্যাবেলায় নির্বাহী বোর্ডের সভায় অংশগ্রহণরত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের পরিচয় করিয়ে দেয়ায় উদ্দেশ্যে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ইন্টারকন্টিনেনটাল হোটেলে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন বলেন, এ অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে সায়মা ওয়াজেদের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের ভূমিকা আরো জোরদার হবে। 

এ অনুষ্ঠানে সায়মা ওয়াজেদ তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। ফলশ্রুতিস্বরূপ, দেশসমূহের মধ্যে নানাবিধ পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবার গুণগত  উৎকর্ষ সাধিত হবে। পরিশেষে, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব সময় পাশে থাকবে বলে, তিনি আস্থা ব্যক্ত করেন। 

উল্লেখ্য, এ সফরকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রস গেব্রেইয়েসুস আধানোমের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এ সময় তিনি অগ্নিদগ্ধের চিকিৎসা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কম্যুনিটি ক্লিনিক, ভ্যাকসিন উৎপাদন ফ্যাসিলিটি স্থাপন প্রভৃতিসহ স্বাস্থ্য সেবার অধিকতর মান উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এছাড়াও, কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। পরিশেষে জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।