যে কারণে ইসির তলবের মুখে আ.লীগ নেতা আমু
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একের পর এক মনোনয়নপ্রত্যাশীকে শোকজ করছে নির্বাচন কমিশন। প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরাও আছেন সেই তালিকায়। নির্বাচন কমিশনের এমন তলবের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরুর আগেই ভোট চাওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি-২ আসনের নৌকার প্রার্থী আমুকে তলব করেছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইসির পক্ষ থেকে আমুকে তলব করার কথা জানা গেছে। সেখানে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ লঙ্ঘনের বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বর আমুকে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আমুকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঝালকাঠি জেলা পাকহানার মুক্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকালে এবং ঝালকাঠিতে অন্য অনুষ্ঠানে আপনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বলে ভ্রমণসূচি জারি করা হয়। এই ভ্রমণসূচির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক, ঝালকাঠি ও রিটার্নিং অফিসার আপনাকে জানিয়েছিলেন যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। অধিক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসভায় পরিণত হতে পারে এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর লঙ্ঘন হতে পারে। আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলেও এ ধরণের জনসমাগম গণমাধ্যমের কাছে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এতদসত্ত্বেও আপনি উক্ত জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং আপনার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। যার ভিডিও এবং স্থিরচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর পরিপন্থী। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১৪ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।এতে আরও বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপনাকে ইতোপূর্বে অবহিত করা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩ সপ্তাহ আগে নির্বাচনী প্রচারণাসহ আচরণবিধি পরিপন্থী কার্যক্রমের জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।