অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাফসানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জেফার

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার  

সম্প্রতি নিজের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন উপস্থাপক-কমেডিয়ান রাফসান সাবাব। চিকিৎসক সানিয়া এশার সঙ্গে তিন বছরের সর্ম্পকের ইতি টেনেছেন তিনি। এই উপস্থাপকের সংসার ভাঙার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। কদিন আগেই রাফসানের উপস্থাপনায় ‘ওয়াট এ শো’তে উপস্থিত হন জেফার। তার কিছুদিন পরই স্ত্রীর সঙ্গে রাফসানের বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে। এরপরই অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে শুরু করেন। শুরু হয় জেফার আর রাফসানের প্রেমের গুঞ্জন।

এই গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দেয় রাফসানের স্ত্রী এশার বক্তব্যে। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আমার অনুমতি ছাড়া এমনকি ডিভোর্স লেটারে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই রাফসান বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত তারকারা চুপ থাকেন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী জেফার রহমান ভিন্নতার পরিচয় দিলেন। তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন গণমাধ্যমে। প্রেমের গুঞ্জনকে জেফার একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। মানুষ এগুলো কোথা থেকে পায় আমি জানি না। আমি সাধারণত এসব বিষয় এড়িয়ে চলি। কিন্তু এবার যেভাবে পরিস্থিতি নোংরা হয়েছে তাতে খুব খারাপ লেগেছে। তাই এটা নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা (জেফার আর রাফসান) একসঙ্গে শো করেছি, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। যেমনটি আমরা আরও অনেক সহকর্মীর সঙ্গেই করি। এর বাইরে তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।’

জেফার রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা পড়বেন, তাই বিশ্বাস করবেন না। কেউ একজন এসে অভিযোগ তুললো, কোনো প্রমাণ ছাড়াই, এর মানে এই নয় যে সেটা বিশ্বাস করতে হবে।’

তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমান কয়েক বছর ধরেই শোবিজে কাজ করছেন। শুরুতে ইংরেজি গান কভার করে আলোচনায় আসেন। এরপর নিজের মতো করে মৌলিক গান করতে থাকেন। তার গায়কী এবং হেয়ার স্টাইলের জন্য দর্শক সহজেই তাকে আলাদা করতে শুরু করে। তবে এ বছর মুজার সঙ্গে ‘ঝুমকা’ গানটি করার পর তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। এরইমধ্যে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতো নির্মাতার পরিচালনায় চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিগগিরই দর্শক তার প্রথম অভিনয় দেখতে পাবেন।


এদিকে, বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাফসান সাবাব লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ ছিল না কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পরে দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথ চলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’

এদিকে বিচ্ছেদের ঘটনার তিনদিন পর রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাফসানের স্ত্রী চিকিৎসক সানিয়া এশা। তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি। আমি শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে গেছি বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। বিয়ে এবং স্বামী ছিল আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আমি তার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। কিছু বড় সমস্যা ছিল, যেগুলোর জন্য আমি নিজেই হয়তো সব শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার সংসার ভেঙে যাক। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমি এখন প্রকাশ করতে চাই না। এভাবে আমি নিজেই হয়তো সংসার আর চালিয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু আমার এতটুকু বিশ্বাস ছিল, অন্তত সঠিক আইনানুগ উপায়ে কিংবা যেটা সত্যি সেটা সবার সামনে মেনে নিয়ে সত্যিটা ঘোষণা দেওয়া হবে।’

এরপর এশা আরও উল্লেখ করেন, তিনি (রাফসান সাবাব) তালাকের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেন, নোটিশে স্বাক্ষর করলেন। তারপর আমার স্বাক্ষর ছাড়াই এবং তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তিন মাস অপেক্ষা না করে পাব্লিকলি ঘোষণা করলেন। পুরো কাজটাই করলেন আমার সম্মতি না নিয়েই।