অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

অভিবাসীদের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্তির আহ্বান

পরবাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার  

অবশ্যই অভিবাসী ও তাদের পরিবারবর্গকে বিশ্বব্যাপী ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা’র আওতায় আনতে হবে- কোভিড-১৯ কালে অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে একথা বলেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসমূহের আন্তর্জাতিক ফেডারেশন (আইএফআরসি), আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগাল ও মরক্কো মিশন এবং ফ্রেন্ডস অব মাইগ্রেশন গ্রুপ। বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রেন্ডস্ অব মাইগ্রেশন গ্রুপের কো-চেয়ার।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধির প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বিবেচনায় নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকায় সকলের সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা নাজুক অবস্থায় থাকা অভিবাসীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা, ঔষধ ও সরঞ্জামাদির সহজলভ্যতা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান। 

করোনা অতিমারিজনিত কারণে লাখ লাখ অভিবাসী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, গত জুন মাসে গৃহীত ‘অভিবাসীদের উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক যৌথ বিবৃতিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ যা ১০৩টি দেশের সমর্থন অর্জন করে। বিবৃতিটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে জাতীয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা নীতি এবং পরিকল্পনায় অভিবাসীদের স্বাস্থ্য চাহিদার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। করোনা অতিমারি মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে অভিবাসী এবং বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে প্রদত্ত বক্তব্যে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

অভিবাসনের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, স্বাস্থ্যবান অভিবাসীই কর্মক্ষম অভিবাসী। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইএফআরসি’র সভাপতি ও আইওএম এর মহাপরিচালক।