অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৫০ স্কুলে শিশুর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করবে এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৭ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার  

বর্তমান সময়ে শিশুদের বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মোবাইলে ইন্টারনেটের ব্যবহার। মোবাইল হাতে আমাদের শিশুরা প্রবেশ করছে সাইবার জগতে এবং ঢুকে যাচ্ছে জানা-অজানা নানা প্ল্যাটফর্মে। আমরা কি জানি আমাদের শিশু সাইবার জগতে কতটা নিরাপদ? 

আমরা হাতের কোথাও ব্যাথা পেলে যেমনি হাত কেটে ফেলে দেওয়াকে সমাধান মনে করি না, তেমনি শিশুরা অনলাইনে অনিরাপদ থাকতে পারে ভেবে তাদেরকে ইন্টারনেটের ব্যবহার থেকেও দূরে রাখতে পারি না। তাই জানতে হবে নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহার। 

এই বিষয়টি মাথায় রেখে এশিয়া ফাউন্ডেশন একটি গ্লোবাল প্লাটফর্ম বানিয়েছে, যার নাম লেটস রিড। পৃথিবীর নানা ভাষার অসংখ্য গল্পের বইয়ের মধ্যে এখানে তিনশোটির বেশি বাংলা গল্পের বইও আছে। যেখান থেকে শিশুরা পড়তে পারে মজার মজার সব গল্প, জানতে পারে অনেক কিছু। এই উদ্যোগকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং নিরাপদ অনলাইন ব্যবহার সম্পর্কে জানাতে, এশিয়া ফাউন্ডেশান এবং ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী তিন মাসে ৫০টির বেশি স্কুলে করা হবে কর্মশালার আয়োজন। 

২১ শে সেপ্টম্বর এই চমৎকার উদ্যোগের শুভসূচনা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শুক্লা দে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা  বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোমা দেব, বিশিষ্ট লেখক ও শিশুসাহিত্যিক লেখক পলাশ মাহবুব, সমকাল পত্রিকার সিনিয়র সাব এডিটর লেখক আশিক মোস্তফা, সিপিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়েদ হোসেন, ব্যাকপেইজ পিআর এর প্রধান নির্বাহী তানজিরাল দিলশাদ দিতান, এসকলাস্টিকা স্কুলের শিক্ষক শুভ কর্মকার, স্যার জন উইলসন স্কুলের শিক্ষক আতিয়া সানজিদা, এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সাংবাদিক সুস্মিতা চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন ভলান্টিয়ার অপারচুনেটিজ এর পঞ্চাশজন স্বেচ্ছাসেবক। 

আয়োজন সম্পর্কে শুক্লা দে বলেন, “আমাদের উদ্দ্যেশ্য কখনোই প্রিন্ট বইয়ের বিকল্প হিসেবে এপভিত্তিক বই প্রচার করা না, আমাদের লক্ষ্য যেন ইন্টানেটেও শিশুদের জন্য তাদের কথা মাথায় রেখে বই রাখা, যেন যে কোন মাধ্যমেই তারা বই পড়তে পারে।“ সোমা দেব জানান, “আমি নিজেও একজন মা। আমিও চাই আমাদের শিশুরা যেন অনলাইনে নিরাপদ থাকে এবং সেখানে বই পড়া হতে পারে একটা চমৎকার উপায়। লেখক এবং উন্নয়নকর্মী পলাশ মাহবুব বলেন, “শিশুদের নিয়ে কাজ করতে হলে, আমাদেরেএকইসঙ্গে অভিভাবকদের নিয়েও কাজ করতে হবে। তিনি শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরকেও এই কাজে যুক্ত করার কথা বলেন।