অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

শেষ হলো তিনদিনের ৩য় বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ২৮ মে ২০২৩ রোববার   আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ২৮ মে ২০২৩ রোববার

নারী ও শিশু আইজিএফসহ মোট ৮টি সেশন ও কর্মশালার মধ্য দিয়ে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো তিন দিনের ইথ আইজিএফ। তিন দিনের সম্মেলনে সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার মাধ্যমে আগামীর জন্য সমান্তরাল পৃথিবী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। শহর-গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে ডিভাইসে নারী-পুরুষ এবং শিশুদের সমান অংশীদারীত্বের মাধ্যমে ইন্টারনেটের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় সম্মেলন থেকে। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বিকেলে সমাপনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জারতাজ হক সিমরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেইন্ট ফ্র্যান্সিস জ্যাভিয়ার্স গ্রিন হের‌্যাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী আয়েশা লাবিবা। 
আলোচক ছিলেন সানবিম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী আয়ান আহমেদ, সেইন্ট ফ্র্যান্সিস জ্যাভিয়ার্স  গ্রিন হের‌্যাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী কাজী সব্যসাচী, ইলমা খন্দকার, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শ্রীপর্না পাল, তানজিরুল হক এবং বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী খন্দকার আয়েশা শাহরিয়ার। 

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী আলম আরা মিনু। বক্তব্যে তিনি, শিশুদের সময়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও শারীরিক খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।    

এর আগে সকালে ইন্টারনেট দুনিয়ায় যুব ও যুব নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সমাপনী ও ৭ম সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উইমেন আইজিএফ মহাসচিব ফারহা মাহমুদ তৃণা।  

উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তিনি বলেন তারুণ্যের ক্ষমতায়নে বড় শক্তি ইন্টারনেট। ফেস বুকিং নয়; ডিজিটাল শক্তির আধার এই ইন্টারনেটকে বলা যেতে পারে তীক্ষ্ণ তরবারি। তাই নিজেদের কল্যাণে এর ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দেড় শতাধিক তরুণ প্রতিনিধিদের নিয়ে শুরু হলো তিন দিনের ইয়ুথ আইজিএফ। বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভন্যান্স ফোরামের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তিতেই বাংলাদেশ পরবর্তী ইমার্জিং টাইগার হয়ে উঠছে। মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই তরুণ। কিন্তু এখনো দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটে সংযুক্ত নয়। সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্বে আমরা আগামী ৫ বছরে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছবো।

উদ্বোধনী সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইয়্যুথ ইন ডিজিটাল অ্যাওয়ারনেস প্রকল্প সমন্বয়ক ও স্টার্টআপ খুলনার দলনেতা মোছাঃ শরীফা আলম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামিট কমিউনিকেশনসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ফররুখ ইমতিয়াজ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ধনী-গরিব ভেদাভেদ দূর করে সবাইকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার আহ্বান জানান আইকান দক্ষিণ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক নিতীন ওয়ালি। তিনি বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে পূর্ণতা দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, ১ কোটি সংযোগ থাকলেও বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটির বেশি। এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের পর এবার তারা ইন্টারনেটের মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আশাকরা যায়, আগামী ৫ বছর পর দেশে কোনো ব্রডব্যান্ড সংযোগ ১০০ এমবিপিএস এর নিচে থাকবে না।    

এছাড়াও আয়োজকদের পক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু।
   
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ডিজিটাল ও  স্মার্ট বাংলাদেশে তারুণ্যের শক্তি এবং বিকাশমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুইটি পৃথক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।