অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টেকনাফে ‌বিজিবি-বিজিপির রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ২৫ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার  

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে দু’দিন ব্যাপী ৫ম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ মে) টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সেন্ট্রাল রিসোর্টে এ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বিজিবি ও বিজিপির মাঝে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন বুধবার ২৪ মে সকাল ১০টার দিকে টেকনাফে সেন্ট্রাল রিসোর্ট সম্মেলন কক্ষে শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিবের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিজিবির প্রতিনিধিদল, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। অপরদিকে, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১ নম্বর পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তি ত লুইনের নেতৃত্বে  ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। 

বিজিবি কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি-১৯৮০ অনুযায়ী সীমান্ত সুরক্ষায় একটি নিয়মিত বৈঠক যা উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্মতিতে নির্দিষ্ট বিরতিতে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন দুটি বন্ধুপ্রতিম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে উভয় প্রতিনিধি দল সম্মিলিতভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে নিয়মিত বিরতিতে এমন আয়োজন, নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা, নির্ভরতা, সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত, মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিহত, সীমান্তে আইইডি স্থাপন, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও সীমান্ত পিলার পরিদর্শনসহ নানাবিধ বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।