অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রতারণার মামলায় নোবেলের জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২২ মে ২০২৩ সোমবার  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রতারণার মামলায় বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২২ মে) এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার ডিবির পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন নোবেলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

সম্প্রতি একাধিক অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রতারণায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় নোবেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে গত ২০ মে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে একদিনের রিমান্ডে দিয়েছিলেন আদালত

গত ১৬ মে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় আলোচিত এ মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরদিন ১৭ মে আদালত এই মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

Nobelমামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রাজধানীর হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলেন তিনি। পরে গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান। এরপর গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। একপর্যায়ে গান গাওয়ার জন্য মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ সময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরিয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। সবশেষ গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নোবেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে জেনেশুনে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নোবেল এই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।