অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারেন ট্রাম্প: রিপোর্ট

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ১১ মে ২০২৫ রোববার  

সৌদি আরবে আসন্ন উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'মিডিয়া লাইন' এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বেশিরভাগ দেশসহ ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে না। অনেক দেশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানের উপায় হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দাবি করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপসাগরীয় এক কূটনৈতিক সূত্র মিডিয়া লাইনকে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং এটিকে আমেরিকান স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে একটি ঘোষণা জারি করবেন। হামাসের উপস্থিতি ছাড়াই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।'

সূত্রটি আরও বলেছে, এই ঘোষণা 'মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হবে'।

এই মাসের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে ট্রাম্প 'একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে একটি খুব, খুব বড় ঘোষণা' নিয়ে আলোচনা তুলেছিলেন। যদিও তিনি এই ঘোষণার অর্থ কী হবে, তা নির্দিষ্ট করেননি। তবে তিনি বলেছেন, এটি 'খুব ইতিবাচক' হবে। কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেন, ট্রাম্প এটি দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কথা উল্লেখ করতে পারে।

ট্রাম্প এর আগে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। ১৯৯৩ সালের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির অধীনে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের রাজধানীর দাবি সত্ত্বেও তিনি প্রথম মেয়াদে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

তবে বর্তমান মেয়াদে ট্রাম্প সংঘাতের স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছেন। যদিও উভয় পক্ষ জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছিল, তবে ইসরায়েল ফের গাজায় পুনরায় তাণ্ডব করে। এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি মন্তব্য করেন, গিগগিরই গাজায় একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ঘোষণা আসতে পারে।