অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

গ্রেফতার আতঙ্কে ইমরান খান

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৫ এএম, ১৯ মে ২০২৩ শুক্রবার  

লাহোরের জামান পার্কের নিজ বাসভবনেও স্বস্তিতে নেই ইমরান খান। গত দুদিন থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই ইনসাফ’র (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আগের দিনের মতো বৃহস্পতিবারও পুনরায় গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ‘সন্ত্রাসীদের’ হস্তান্তর করতে পাঞ্জাব সরকারের ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন শেষ হওয়ার পর জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে তার প্রথম সাক্ষাৎকারে নিজের ভেতরে জেঁকে বসা এ ভয়ের কথা প্রকাশ করেন ইমরান। বলেন, ‘এটি যেকোনো সময় ঘটতে পারে।’ ডন, জিও নিউজ।

সাক্ষাৎকারে পুলিশ এখনো তার বাসভবন ঘিরে রেখেছে বলে জানান তিনি। তবে তারা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। তার দলের বেশ কয়েকজন নেতা ও সদস্যের গ্রেফতারের সমালোচনা করে ইমরান খান বলেন, যে তার দল ‘সন্ত্রাসের রাজত্বের’ সম্মুখীন হচ্ছে। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন নজিরবিহীন ক্র্যাকডাউন চলছে।’ তার সব জ্যেষ্ঠ নেতা এখন কারাগারে বলে জানান তিনি। বলেন, কারাগার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আবার গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে পাঞ্জাব পুলিশ ৯ মে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের জামান পার্কের বাসভবন থেকে পালানোর চেষ্টা করে ভাঙচুরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে।

বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার হাসান জাভিদ জানান, সন্দেহভাজনরা ইমরান খানের বাসভবন থেকে নিকটবর্তী একটি সেতু দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। 

গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে যে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩০ থেকে ৪০ জন লোক ভেতরে লুকিয়ে আছে। 

একের পর এক দল ছাড়ছেন পিটিআই নেতারা
সামরিক আইনের অধীনে পিটিআই বিক্ষোভকারীদের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একের পর এক দল ছাড়ছেন পাকিস্তান তেহেরিক-ই পার্টির (পিটিআই) নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছে পিটিআই নেতা আমের মেহমুদ কিয়ানি ও সঞ্জয় গ্যাংওয়ানি। 

বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে কিয়ানি বলেন, তিনি শুধু দলই ছাড়ছেন না বরং রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন। তিনি পিটিআই বিক্ষোভকারীদের দ্বারা ৯ মে ভাঙচুরকে ‘জাতীয় ট্র্যাজেডি’ হিসাবে অভিহিত করে দেশজুড়ে প্রায় তিন দিনব্যাপী দাঙ্গা এবং অস্থিরতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

এদিকে সিন্ধু পরিষদের পিটিআই সদস্য (এমপিএ) সঞ্জয় গাংওয়ানিও সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদে দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমপিএ করিম গাবলও দল ছেড়েছেন। এক দিন আগে, পিটিআই সদস্য জাতীয় পরিষদের (এমএনএ) মাহমুদ বাকি মৌলভিও একই কারণ দেখিয়ে দল ছেড়েছেন।

পরদিন বৃহস্পতিবারই দল ছেড়েছেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতা, ইমরান খানের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পিটিআই নেতা মালিক আমিন আসলাম। ইসলামাবাদের সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন যে, দলটি ‘ধ্বংসাত্মক’ পথে যাত্রা করছে। তার ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি বলেও জানান তিনি। বড় বড় নেতাদের দল ত্যাগের ঘটনায় এদিন সাবেক আইনমন্ত্রী বাবর আওয়ান বলেন, যারা পিটিআই ছেড়েছেন তাদের বদলে নেতৃত্ব আসবে তরুণরা। টুইটারে তিনি বলেন, এই কঠিন সময় পিটিআইতে শত শত সাহসী তরুণ নেতার আবির্ভাব হয়েছে।