অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

করোনায় শিক্ষার ক্ষতির পাশাপাশি সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১৬ মে ২০২৩ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৯:৫৪ পিএম, ১৬ মে ২০২৩ মঙ্গলবার

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বৈশ্বিক অতিমারি করোনার কারণে সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষায় এর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লার্নিং লস বা গ্যাপ পূরণে সময় লাগবে। একটি বা দুটি শিক্ষাবর্ষে তা পূরণ হবেনা। সেসময় অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে আমরা ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ায় যুক্ত করতে পেরেছি। 

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং লস’ নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতিমারির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেরা চেষ্টা করে শেখার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার শিখেছে।  অনেক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা কাজ সম্পন্ন করা হয়। গবেষণা কাজে ১৮ হাজার ৮৩৮ জন প্রাথমিক শিক্ষার্থীর ওপর সমীক্ষা পরিচালিত হয়। 

 গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মতামত দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন,  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমদ।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ মিলিয়ে বাজেট শতকরা তিন ভাগের কাছাকাছি। এটাকে বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাজেট প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা।  সেই অর্থে বিনিয়োগ অনেক বেশি। বিনিয়োগ টাকার অংকে কত হচ্ছে তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে শুধুমাত্র শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ সেটাই শুধু শিক্ষায় নয়, খাদ্য, পুষ্টি, বিদ্যুৎ, আইসিটি ও যোগাযোগে যে বিনিয়োগ হচ্ছে, এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানান রকম প্রভাব শিক্ষার ওপর আছে। 

'শিক্ষায় একটি মেগা প্রজেক্ট হবে' এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে টাকা বাড়বে, আরও অনেক বাড়বে। এখন ভালো একটি শিক্ষাক্রম হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি।  আমরা এখন যেসব কাজ করছি সেগুলো শেষ হলে বাজেট বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক বেশি ক্লাব গঠন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাব বেইজ হবে। এখন রোবোটিক ক্লাব হচ্ছে, নানান কিছু হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে তাদের আর একটু এগিয়ে দিতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও অনেক ভালো করার চেষ্টা করছি।  শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা যত ভালো করতে পারবো আমরা তত এগিয়ে যেতে পারবো।