অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

টুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো

সাই-টেক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার  

ইতালির বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিন্ডা ইয়াক্কারিনোকে টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

শীর্ষ বিজনেস এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচিত লিন্ডা এনবিসি ইউনিভার্সালের বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান ছিলেন।

শুক্রবার (১২ মে) এক টুইটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের মালিক বিশ্বের অন্যতম ধনী ইলন মাস্ক বলেন, টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে লিন্ডা ইয়াক্কারিনোকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এখন থেকে লিন্ডা টুইটারের যাবতীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদারকি করবে। আমি টুইটারের প্রোডাক্ট ডিজাইন ও নতুন প্রযুক্তির ওপর নজর দেব।

ইতালীয় জাতিগোষ্ঠীর লিন্ডা ইয়াক্কারিনোর ছোট বেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার সঠিক জন্ম তারিখ জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখন তার বয়স ৬১। লিন্ডা ১৯৮৫ সালে পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে টেলিকমিউনিকেশনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

শিক্ষা জীবন শেষ হবার পর, লিন্ডা তার পেশাগত কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯২ সালে টার্নারে যোগদানের আগে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। টার্নারে তার মেয়াদের সময় তিনি বিজ্ঞাপন বিক্রয়, বিপণন ও অপারেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিওও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোম্পানিতে তার ব্যতিক্রমী অবদানের কারণে তিনি কয়েক দফায় পদোন্নতি পান।

গত বছর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেয়ার পর নিজেই প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। টুইটার কেনার পর তিনি কোম্পানিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। শীর্ষ পর্যায়ের নির্বাহীদের চাকরিচ্যুত করার পর নিজেই সিইওর দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি গণহারে কর্মীও ছাঁটাই করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় ইলন মাস্ক জানান, ছয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধান দায়িত্ব নেবেন এবং এরপর মাস্ক হয়তো নির্বাহী চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশ যান স্পেস-এক্সের মতো বড় বড় ব্যবসা রয়েছে এলন মাস্কের। টুইটার প্রধানের দায়িত্ব অন্য কারও ওপর ন্যস্ত করে নিজেকে অন্য ব্যবসাগুলোতে বেশি সময় দিতে চাইছেন তিনি। এ ছাড়া টুইটারের প্রধানের পদ ছাড়া নিয়ে কিছুটা চাপেও ছিলেন মাস্ক।

গত বছর টুইটারে ভোট হয়েছিল। সেখানে অধিকাংশ লোক ইলন মাস্কের টুইটারের দায়িত্ব ছাড়ার পক্ষে রায় দেয়।

সূত্র: জিএইচবেজ ডটকম