অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

অবৈধ সম্পদ: কর পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ রোববার  

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কর অঞ্চল-৯ উত্তরা ঢাকার কর পরিদর্শক আবু হাসান মো. খাইরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস লাকি রেজওয়ানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গাজীপুরের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। 

অভিযুক্ত আবু হাসান মো. খাইরুল ইসলামের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কোটামনি গ্রামে তার বাবার নাম মো. চাঁদ। লাকি রেজওয়ানা তার স্ত্রী।  

গাজীপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার জানান, অভিযুক্ত আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৩২ লাখ এক হাজার ৮৯৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। তিনি কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং নিজ স্ত্রীর নামে সাব-কাবলা দলিলমূলে ক্রয়পরবর্তী নিজনামে হেবা বিল এওয়াজ দলিলেল মাধ্যমে অর্জিত ১৫ শতক জমিসহ দু’তলা (ডুপ্লেক্স) বাড়ি নির্মাণ ও দলিল নম্বর ৪১৯৫/১৯ এর খরচসহ সর্বমোট ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৫ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। ওই সম্পদ তিনি নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত উক্ত অবৈধ সম্পদের উৎস আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার অবৈধ আয়ের প্রকৃত উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মবৃত করার জন্য জ্ঞাতসারে স্থানান্তর/রূপান্তরের মাধ্যমে তার বাবা চাঁন মিয়ার নামে আয়কর বিভাগে ভুয়াভাবে প্রদর্শন করেন। উক্ত অবৈধ সম্পদ বৈধ করার অপচেষ্টা চালানোর অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

এ ছাড়া তার স্ত্রী লাকী রেজওয়ানার (৪০) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন পূর্বক কমিশনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। তিনি ঘুষ/দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ বা ছদ্মাবৃত করার অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাতসারে স্থানান্তর/রুপান্তরের মাধ্যমে আসামি মিসেস লাকী রেজওয়ানার নামে মোট দুই কোটি আটষট্টি লক্ষ উনত্রিশ হাজার আটশত সাতাত্তর টাকার ১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭১ টাকা গোপনকৃত অর্থসহ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গিতপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে নিয়ন্ত্রণে/দখলে রেখে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার প্রচেষ্টা চালানোর অপরাধের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।