অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

নির্বাচনের বছর চোখ কান খোলা রাখবো: দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার  

চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে কিংবা আগামী ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এক বছর ‘চোখ-কান খোলা রাখবে’ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশেষ করে যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের হলফনামার বিষয়টি নজরদারি করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সোমবার (২০ মার্চ) রাতে বার্ষিক প্রতিবেদনটি (২০২২) রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়ে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নিতে বলেছেন।’ দুদক স্বচ্ছতার সঙ্গে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

এসময় বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘মামলাগুলো চলমান।’ এ নিয়ে আর কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।

সম্প্রতি আলোচিত দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ‘অর্থপাচার’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই, পেলে কাজ করবে দুদক।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আদালতে দুর্নীতির মামলা প্রমাণে আগের বছরগুলোর তুলনায় আমরা অনেক এগিয়েছি। এফআরটি বা ফাইনাল রিপোর্ট কমেছে। মামলার সংখ্যা বাড়ছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে মানুষের আস্থা বাড়ার প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে বেড়েছে। দুদক যে তৎপর সেটা দুদকের কাজকর্মেই বোঝা যায়। দুদকের কার্যক্রমে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনিও (রাষ্ট্রপতি) মনে করেন, বিশ্বাসের জায়গাগুলোতে দুদকের ওপর আস্থা বেড়েছে মানুষের।’

মিট দ্যা প্রেসে দুদকের আরেক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, ‘দুদক কী কাজ করেছে, রেকর্ড-পত্রেই তার প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রকে অর্থ আদায় করে দেওয়ার মতো ভালো কাজ করেছে দুদক। কাউকে জেল খাটানোর চেয়ে জরিমানা আদায় করা লাভজনক। দুদক সেই কাজটিই করছে।

দুদকের এই কমিশনার আরও বলেন, ‘শতভাগ না হলেও দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনেক কমেছে।’ দুদক নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সঠিক তথ্য দেয়নি।’

একই প্রসঙ্গে দুদকের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘যারা অন্যের সমালোচনা করেন, তাদের আগে নিজের আত্মসমালোচনা করা জরুরি। দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের সম্যক ধারণা আছে কিনা সেটাও বিবেচনার বিষয়।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে দুদকের পরিচালক জাহিদ হোসেন জাহিদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।