অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বরগুনায় কুরিয়ার সার্ভিসকে ঘিরে অভিনব প্রতারণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা

প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৪:১০ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

বরগুনা উপজেলা পরিষদ এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে চলছে অভিনব প্রতারণা। প্রতারক চক্র কুরিয়ার সার্ভিস সেবা গ্রহীতাদের বোকা বানিয়ে হাজার হাজার টাকার মালপত্র হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। 

গত রোববার (২৭ নভেম্বর ) বরগুনা উপজেলা পরিষদ এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয় থেকে কম্পিউটার সামগ্রী ডেলিভারি নিতে আসেন দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) বরগুনার জেলা শাখার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান। কুরিয়ার বুঝে পেয়ে সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একজন রিকশা চালককে ডেকে বাক্স তোলেন রিকশায়। রিকশাচালককে মালামাল দিয়ে বরগুনা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার দিকে নিয়ে যেতে বলেন মনিরুজ্জামান। নিজেও রওয়ানা দেন মোটরসাইকেলে চেপে। প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছতেই একজন তরুণ হঠাৎ বাইকের কাছ ঘেঁষে দাঁড়ান। ওই তরুণের দাবি, তার শরীরে বাইকের ধাক্কা লেগেছে। এ নিয়ে মিনিটখানেক তর্ক হয়। এই সুযোগে রিকশাচালক উধাও। শহরের অলিগলি কোথাও খুঁজতে বাদ রাখেননি মনির। কিন্তু সন্ধান মেলেনি সেই রিকশাচালকের।

দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) বরগুনার জেলা শাখার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনির জানান, বরগুনা অফিসের জন্য ঢাকা থেকে ৫৭ হাজার ৯০০ টাকায় কম্পিউটার সামগ্রী কিনে সুন্দরবন কুরিয়ারে পাঠানো হয়েছিল। চোরচক্র কম্পিউটার নিয়ে চম্পট দেয়ায় তিনি এখন পড়েছেন মহা বিপাকে।

একই দিন পণ্য খোয়া গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মো. আলীমের। সকাল ১০টার দিকে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার ওষুধ ডেলিভারি নিতে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে আসেন।

ঠিক একই প্রক্রিয়ায় বরগুনা পৌরসভার সামনে পৌঁছতেই বাইকে ধাক্কা লেগেছে দাবি করে এক ব্যক্তি তর্ক করার চেষ্টা করেন। বিরোধ এড়িয়ে এগিয়ে যান আলীম। পৌর মার্কেটের কাছে পৌঁছতে আবারও এক ব্যক্তি বাইকে ধাক্কা লেগেছে দাবি করে তর্ক জুড়ে দেন। এ সুযোগে রিকশাচালক চম্পট।

প্রায়ই ঘটছে এই ধরণের ঘটনা। সুযোগ বুঝে কুরিয়ারের পার্সেল ডেলিভারি নিতে আসা গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে পার্সেল নিয়ে উধাও হয় একটি চক্র।

এসব প্রতারণা নিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস বরগুনা সদর শাখার ব্যবস্থাপক মাসুম মল্লিক বলেন, যদি হোম ডেলিভারি থাকে তবে বাসায় পৌঁছে দেই। আর যাদের হোম ডেলিভারি নেই, তারা অফিস থেকে এসে পার্সেল নিয়ে যায়। ডেলিভারির পর বাইরে কী ঘটে এ দায়িত্ব তাদের নয়। তবে এসব ঘটনায় তারা বিব্রত।

ঘটনার পর রোববার রাতেই মনিরুজ্জামান ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আলিম বরগুনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে ধরতে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।