অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ওজন কমাবে আলু!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার  

চিন্তা করছেন বাড়তি ওজন নিয়ে। বাড়তি ওজন অবশ্য ঝুঁকিপূর্ণ। মেদবহুল দেহে নানা রোগ বাসা বাঁধে। এরমধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশি।মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

এছাড়া মোটা ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বা প্রদাহ বেশি মাত্রায় দেখা দেয়।স্থূল ব্যক্তিরা ঘুমে নাক ডাকেন বেশি, তাদের স্লিপঅ্যাপনিয়া জাতীয় রোগ বেশি হয়। শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা হয়।

কিন্তু হাতের কাছেই রয়েছে সহজ পদ্ধতি। তাই খাবারের মেন্যুতে রাখুন আলু। এটা শুনে চমকে উঠতে পারেন। অনেকের ধারণা আলু খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, এটি সম্পূর্ণ ভুল।

তারা বলছেন, আলু ওজন বাড়ায় না উল্টো দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে আলু বেশ উপকারী। ‘ইয়োরোপিয়ান ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিল’-এর গবেষক দল এমনটাই দাবি করেছেন।

কিন্তু তাই বলে ইচ্ছামতো পেট পুরে আলু খেলে ওজন কমবে না বরং বাড়বে। কোনো ফলই পাওয়া যাবে না। নিয়মিত আলু খেয়ে ওজন কমাতে হলে ব্যক্তিকে সঠিক পদ্ধতি মেনে খেতে হবে।

গবেষক দলটির যুক্তি, সামান্য পরিমাণে আলু খেলেই পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকে। তাই যারা বারবার খেতে পছন্দ করেন ও এভাবে ওজন বাড়িয়ে ফেলেন তাদের খাবার মেন্যুতে আলু রাখা উৎকৃষ্ট একটি উপায়। তাদের ডায়েটে আলু রাখলেই চলবে।

পুষ্টিবিদরা বলেন, সহজেই হজম হওয়া খাদ্যের অন্যতম আলু। আলু খেলে শরীর তরতাজা থাকে। তাই শরীরের বাড়তি ওজন দ্রুত কমাতে চাইলে কয়েকটি নিয়ম মেনে আলু খেলেই ফল মিলবে।

ওজন কমাতে আলু খাওয়ার পদ্ধতি- ১) অন্তত টানা পাঁচ দিন পেট ভরে শুধু সিদ্ধ আলু খেতে হবে। এই পাঁচ দিনে অন্য কোনো খাবার খাওয়া চলবে না।

২) শুধু সিদ্ধ আলু অনেকেই খেতে পারেন না। যারা একেবারেই তা খেতে না পারেন না তার সিদ্ধ আলুর সঙ্গে সামান্য লবন মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে অন্য কোনো মশলা বা মুখরোচক চাট মশলা জাতীয় কিছু মেশানো যাবে না এই আলুতে।

৩) যাদের চা, কফির অভ্যাস তারা আলুর এই বিশেষ ডায়েট চলাকালীন দুধ ছাড়া এসব পানীয় গ্রহণ করতে হবে।

৪) আলুর এই বিশেষ ডায়েটে থাকাকালীন এই পাঁচ দিন কোনোরকম ভারী ব্যায়াম বা ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম করা যাবে না।

৫) এই পাঁচ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতেই পারেন। তবে কোনোরকম ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া চলবে না।

ওজন কমাতে মাসের পর মাস জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো, সকাল-বিকাল পার্কে দৌড়ানো, নানা ধরনের যন্ত্রাদি কিনে পয়সা খরচ করানো চাইতে পাঁচ দিন সিদ্ধ আলু খাওয়াটাই অনেক কম কষ্টের। আর বিষয়টি ফলদায়কও।