অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

গুলি করে নামানো হলো চীনা বেলুনটি, পড়েছে আটলান্টিকে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩৬ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার  

অবশেষে বেলুনটিকে গুলি করে নামিয়ে আনলো যুক্তরাষ্ট্র। নিজের আকাশে পাঁচদিন ধরে উড়তে দেওয়ার পর চীনের পাঠানো বেলুনটি, যাকে গুপ্তচরের তকমা দেওয়া হয়েছে আগেই, মাটিতে নামিয়ে আনলো যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। যা সরাসরি সম্প্রচার করে এখানকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের দুই রাজনৈতিকভাবে বৈরিতার দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ঠ্র এ নিয়ে বাহাস করতে থাকে। চীন বলছিলো তাদের আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের বেলুন এটি। যা ভুল পথে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে চলে গেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে এটি স্রেফ গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই পাঠিয়েছে চীন। 

এর আগে পাঁচদিন ধরে বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের ইদাহো থেকে ক্যারোলিনা পর্যন্ত উড়ে যায়। শনিবার দুপুর নাগাদ এটিতে গুলি করা হয় আর ধীরে ধীরে সেটি আটলান্টিক ওশেনের মাঝে পড়ে। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিমানচলাচল প্রশাসন  উত্তর ক্যারোলিনার উইলমিংটন ও মারটেল বিচ এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লেসটন বিমানবন্দরে কোনো বিমান উঠা-নামা বন্ধ রাখে। প্রতিরক্ষা বিভাগকে তার নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় সহায়তা করতেই বিমান চলাচল বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নেয়। 

এর আগে শনিবার সকালের দিকে বেলুনটি গুলি করে নামানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউইয়র্কের সাইরাকাসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা বেলুনটির ব্যাপারে কি করা যায় দেখছি।" পারিবারিক একজন সদস্যের মৃত্যুর পর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। 

তবে গত মঙ্গলবার সামরিক বিষয়াদি নিয়ে পেন্টাগনের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রেসিডেন্ট। তখনই তাকে জানানো হয় ইদাহো কাছাকাছি এলাকা থেকে একটি বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। বুধবারের মধ্যে বেলুনটি মন্টানা পর্যন্ত উড়ে চলে আসে। আর তাতে ফেঁপে ওঠে কূটনৈতিক সঙ্কট। 

সামরিক শীর্ষ ব্যক্তিরা বলছিলেন বেলুনটি গুলি করে নামিয়ে আনা ঠিক হবে না। কারণ বেলুনটি আকারে ঢাউস। অন্ত তিনটি বাসের সমান। ওটি মাটিতে পড়লে সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। 

এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক যোগাযোগ চলতে থাকে। তবে এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তার পূর্বপরিকল্পিত চীন সফর বাতিল করেন। ওটি ছিলো বাইডেন মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের চীনে যাওয়ার প্রথম নির্ধারিত সফর। 

ওদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে বেলুনটি স্রেফ একটি বেসামরিক মেশিন যা দুর্ঘটনাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকেছে। আর তারা একটাই কথা বলছিলে, এটি আর কিছু নয় স্রেফ আবহাওয়ার তথ্য সরবরাহ করছে। তবে মি. ব্লিনকেন এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেই উল্লেখ করেন।