অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এমপি হলে স্যার ডাকতে হবে, তাই সাহেবরা ফল পাল্টে দিয়েছেন: হিরো আলম

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:২৪ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার  

‘আমি এমপি হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে, তাই সাহেবরা মিলে নির্বাচনের ফল পাল্টে দিয়েছেন’- এমন মন্তব্য করেছেন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বুধবার রাতে তাৎক্ষণিক ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, 'আমি অশিক্ষিত, আমি এমপি নির্বাচিত হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে। দেশের সম্মান যেত; তাই ওই সব সাহেবরা আমার ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। নির্বাচিত হলে ওই সাহেবদের দেখিয়ে দিতাম আমিও পারি।'

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্টে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি একমাত্র প্রার্থী ৪-৫ জন কর্মী, একটি পিকআপ, দুটি মাইক নিয়ে দুটি আসনের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। তাদের নানাভাবে সম্বোধন করেছি। ফলে জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভোটার হলেও অনেক বলেছেন, তারা ‘একতারা’ প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। সবাই বলেছেন, আপনি পাশ করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন, তাহলে ওই সব ভোট কোথায় গেলো? আওয়ামী লীগের লোকজনও তানসেনকে (বিজয়ী) ভোট দেয়নি। অথচ তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। 

হিরো আলম জানান, এ অন্যায়ের প্রতিকার পেতে আদালতে রিট করবেন তিনি।

হিরো আলম আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ছিল। তবে নন্দীগ্রামের ফলাফল ঘোষণা করার সময় তার সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে বাকী ১০ কেন্দ্রের ফলাফল আলাদা ঘোষণা না করে মোট ফলাফল ঘোষণা করেছে।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন ওই ১০ কেন্দ্রের ফলাফল একসঙ্গে ঘোষণা করা হলো? এখানেই কারচুপি করা হয়েছে। সব বুথে এজেন্ট থাকলেও প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ফলাফলের কপি দেয়নি।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জেলা জাসদের সহ-সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। ১১২ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। নির্বাচনে মোট নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোট সংগ্রহের হার ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।