অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

এবার বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় দশেরও বাইরে আদানি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৩৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার  

বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করে বেশ চমক দেখিয়েছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তার প্রতিষ্ঠান 'আদানি গ্রুপের' সম্পদ কমেছে ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। যার ফলে বর্তমানে শীর্ষ ধনীব্যক্তিদের তালিকার ১১ নম্বরে নেমে গেছেন ভারতীয় এই ধনকুবের।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে বেশ টালমাটাল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আদানিকে। প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে 'কর্পোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির' অভিযোগ করা হয়েছে।

গত বুধবার প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৃত্রিমভাবে শেয়ার বাজারে নিজেদের দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ধনী হয়েছে কারচুপির মাধ্যমে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। কমেছে শেয়ারের দাম। শেয়ার বাজারের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অল্প সময়ের মাঝে বিপুল পরিমাণ সম্পদ হারিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন গৌতম আদানি। যদিও বর্তমানে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা ধরে রেখেছেন এই ধনকুবের, তবে এভাবে সম্পদ হারাতে থাকলে খুব শিগগিরই এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমাও হারাতে পারেন তিনি।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারতীয় এই ধনকুবের মঙ্গলবার বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১১ নম্বরে নেমে গেছেন। হারাতে হারাতে আদানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ কমে ৮ হাজার ৪৪০ কোটি ডলারে ঠেকেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ভারতের আরেক ধনকুবের ও আদানির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির চেয়ে মাত্র এক ধাপ ওপরে আছেন গৌতম আদানি। মুকেশ আম্বানির বর্তমান মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ২২০ কোটি ডলার।

এদিকে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে প্রকাশিত যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রোববার শেষ রাতের দিকে ৪১৩ পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি দিয়েছে আদানি গ্রুপ। 

বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভারতীয় আইন ও বিধি-বিধান মেনে আদানি গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য যথাযথভাবে প্রকাশ করা হয়। সঠিক কোনো প্রমাণ বা নথিপত্র ছাড়াই হিন্ডেনবার্গ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে, আদানি গ্রুপের অভিযোগের জবাবে হিন্ডেনবার্গ বলেছে, এটা পরিষ্কার, আমরা ভারতকে প্রাণবন্ত্র গণতন্ত্র আর চমৎকার ভবিষ্যতের উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে মনে করি। তবে ভারতের ভবিষ্যৎ আদানি গ্রুপের কাছে আটকে আছে; আর জাতিকে পরিকল্পিতভাবে লুণ্ঠন করতে গিয়ে নিজেকে ভারতীয় পতাকায় ঢেকে দিয়েছে আদানি গ্রুপ।