নায়িকা শিমু হত্যা: নিহতের মেয়ের সাক্ষ্য
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলসহ দুই জনের বিরুদ্ধে নিহতের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত রিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এদিন মামলার বাদী শিমুর ভাই হারুন অর রশীদকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের মেয়ে অজিহা আলিম রিদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে রিদ আদালতে বলেছে, ঘটনার দিন গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সে অন্য রুমে ঘুমোচ্ছিল। দুপুর ২ টার পর সে জানতে পারে তার নিখোঁজ।'
সে বলেছে তার বাবার সাথে মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তার বাবা মাকে প্রায় মারধর করতো।
ঘটনার দুই দিন পর তার বাবা সাখাওয়াত আলী জেলখানা থেকে রিদকে ফোন করে। মেয়েকে বলে,'মা আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দিও।
গত বছর ২৯ নভেম্বর শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন, আব্দুল্লাহ ফরহাদ।
গত বছরের ২৯ আগস্ট মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুই জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। তদন্তকালে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকালের দিকে খুন করা হয় শিমুকে