অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মোদিকে অভিযুক্ত করে বিবিসি’র তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার  

বিতর্কের ঝড় তুলেছে ভারতের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি’র একটি তথ্যচিত্র। যে তথ্যচিত্রে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

বিবিসি’র এই তথ্যচিত্রের নাম, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন'। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রের বিষয় ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা এবং ভারতে মুসলিমদের অবস্থা ও মোদি। বিবিসি টু-তে এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। ভারতে বিবিসি টু দেখানো হয় না। তাই ভারতের মানুষ ওই তথ্যচিত্র দেখতে পারেননি।

এনডিটিভি জানাচ্ছে, এই তথ্যচিত্রের বিবরণ দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে টেনশনের ছবি দেখুন। ২০০২-এর দাঙ্গা, যেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, সেখানে মোদির ভূমিকা নিয়ে অনুসন্ধান-ভিত্তিক প্রতিবেদন। বলা হচ্ছে, এই প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদন ভারতে সম্প্রচার করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আমি এই বিষয়ে যা শুনেছি ও আমার সহকর্মীরা যা দেখেছেন, তার উপর ভিত্তি করে মতামত দেব। আমি প্রথমেই স্পষ্ট করে দিতে চাই, এটা একটা প্রচারমূলক প্রতিবেদন। যে ন্যারেটিভের আর কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, তাকেই আবার বলা হয়েছে। এটা একটা ঔপনিবেশিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।’

অরিন্দমের মতে, ‘এই তথ্যচিত্র পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট এবং একেবারেই বস্তুনিষ্ঠ নয়। এই তথ্যচিত্র বা প্রতিবেদনের মধ্যে কিছু ব্যক্তি বা সংস্থার তৈরি করা ন্যারেটিভ দেখা যাচ্ছে। আমরা এই প্রয়াসকে কোনোভাবে গৌরবান্বিত করতে চাই না।’

ওদিকে বিবিসি-র দাবি, ‘এই সিরিজ খতিয়ে দেখেছে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির শাসনে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি সরকারের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একের পর এক বিতর্কিত নীতি নেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে, যেখানে অনেকেই বলেছেন মুসলিমদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।’

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি ইমরান হুসেইন বিবিসি’র এই তথ্যচিত্রের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়ে দেন, তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা ঠিক বলে তিনি মনে করেন না।

সুনাক বলছেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের এই বিষয়ে অভিমত খুব স্পষ্ট এবং এই মতের কোনো বদল হয়নি। আমরা বিশ্বের কোথাও কোনো অত্যাচার, প্রাণহানির পক্ষে নই। কিন্তু একইসঙ্গে বলতে হচ্ছে, যেভাবে এই তথ্যচিত্রে মোদীকে দেখানো হয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।’