অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দলীয় কার্যক্রমে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেন আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার মামলায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের পক্ষে দলীয় কার্যক্রমে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তা বহাল রেখেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপার বহিস্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈধ ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। তবে জিএম কাদের আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩০ অক্টোবর পার্টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

তবে এ আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপিল (নিম্ম আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ) করেন জি এম কাদেরের আইনজীবীরা। এরপর এবিষয়ে সর্বশেষ গত ৯ শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর ছয় মাস আগে ১ জানুয়ারি জি এম কাদের তাঁর বড় ভাই এরশাদকে ভুল বুঝিয়ে ‘জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা’ শিরোনামে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করান। এরপর জি এম কাদের প্রথমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পরে চেয়ারম্যান হন, যা ছিল গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।

এ নিয়ে দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এরশাদ ২০১৯ সালের ২২ মার্চ জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেন। ৪ মে পুনরায় তাকে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন। তখন এরশাদ গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি স্বাভাবিক বিবেচনা প্রয়োগে সক্ষম ছিলেন না বলে মামলায় দাবি করা হয়। এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন জি এম কাদের। দলের গঠনতন্ত্রে এভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণার কোনো বিধান নেই।